Published : Saturday, 5 March, 2022 at 12:00 AM, Update: 05.03.2022 12:31:41 AM
ইউক্রেইনে
রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এমভি বাংলা সমৃদ্ধির জীবিত ২৮ নাবিককে জাহাজ থেকে
সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার পর রাখা হয়েছে একটি বাংকারে। শুক্রবার সকালে
জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ দুজন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছেন- তারা
সুস্থ আছেন। তবে বাংকার থেকে কখন তারা পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা
হবেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি।
প্রথমে তাদের পোল্যান্ডে নিয়ে
যাওয়ার পরিকল্পনা হলেও যুদ্ধের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখন তাদের মলদোভা হয়ে
রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাহাজ থেকে নামেন ২৮
নাবিক। তার আগে জাহাজটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন এর মাস্টার।
মুম্বাই
থেকে তুরস্ক হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনের অলভিয়া বন্দরে যায় বাংলাদেশ
শিপিং করপোরেশনের জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ শুরু করলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে জাহাজটি আটকা পড়ে।
এর মধ্যে গত বুধবার
সন্ধ্যায় রকেট হামলায় জাহাজের ব্রিজ ধ্বংস হয়ে যায়, মৃত্যু হয় থার্ড
ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমানের। ক্ষোভ আর উদ্বেগের মধ্যে বৃহস্পতিবার
জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ২৮ জন নাবিক ও প্রকৌশলীকে সরিয়ে নেওয়া হয়
নিরাপদ স্থানে।
পাশাপাশি হাদিসুর রহমানের মরদেহ সংরক্ষণের জন্যও
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে পোল্যান্ডের ওয়ারশতে বাংলাদেশ দূতাবাস এক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলার সমৃদ্ধির চিফ ইঞ্জিনিয়ার ওমর ফারুক
তুহিনের মা মোছাম্মৎ খায়রুন নেছা বলেন, “সেখানে আটকা পরার পর থেকে
প্রতিদিন ফোনে কথা হত। কিন্তু গত দুইদিন আর ফোন করতে পারছে না। শুধু ভয়েস
মেসেজ পাঠাচ্ছে আমার ছেলে ও ভাইকে।
“বলেছে- ‘আম্মুকে বলো, আমার জন্য দোয়া করতে’। শিপ থেকে নেমে গেছে। এখন বাংকারে অবস্থান করছে।”
ওমর
ফারুক তুহিনের ছোট ভাই ওমর শরীফ তুষার বলেন, “আজ সকাল ৯টার দিকে মেসেজ
পাঠিয়েছিলাম। জবাবে বলেছে, ‘বাংকারে আছি, সুস্থ আছি’। অন্য নাবিকরা
বেশিরভাই তখন ঘুমাচ্ছিলেন। তখন ভোর রাত। সবাই ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন।
“তবে সেখান থেকে কখন মুভ করবে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি। যেহেতু নিরাপত্তার বিষয় আছে। তবে ওখানে বেশ ঠাণ্ডা। তাপমাত্রা কম।”
জাহাজের
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমানের ভায়রা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন,
“জাহাজ থেকে নামার পর উনারা বাংকারে আছেন এবং নিরাপদে আছেন বলে
জানিয়েছেন।”