উত্তর বারিধারার হয়ে গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ১০ গোল করেছিলেন সুমন রেজা। এবার বসুন্ধরা কিংসে এসে গোল যেন তার পায়ে সোনার হরিণ! লিগে সপ্তম ম্যাচে এসে অবশেষে গোলের দেখা পেলেন। রবিনিয়ো যোগ করলেন আরও একটি। তাতেই ১০ জনের মোহামেডানকে প্রথমার্ধেই ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় অস্কার ব্রুজনের দল। সাদা-কালোরো ম্যাচ হেরেছে ২-০ গোলে।
আজ (শনিবার) বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আধিপত্য দেখিয়েছে স্বাগতিকরা। মোহামেডানকে সেভাবে সুযোগই দেয়নি। ম্যাচ ঘড়ির ১২ মিনিটে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ইব্রাহিমের কাটব্যাক থেকে মাহাদী হাসানের আলতো ছোঁয়ায় ফাঁকায় থেকে সুমন রেজার প্লেসিং ক্রসবারের ভেতরে লেগে জড়িয়ে যায় জালে।
চার মিনিট পর রিমন হোসেনের শট পোস্টের কিছুটা দূর দিয়ে গেলে ব্যবধান বাড়ানো যায়নি। ১৯ মিনিটে বসুন্ধরা আও এগিয়ে যায়। রবিনিয়ো বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে কোনাকোনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন।
দুই গোলে পিছিয়ে থেকে মোহামেডান ২৫ মিনিটে ভালো সুযোগ নষ্ট করে। জাফর ইকবালের ফ্রি কিকে সুলেমানে দিয়াবাতের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
বিরতির পর মোহামেডান ১০ জনের দলে পরিণত হয়। বলের নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে রাজিবের ট্যাকলে পড়ে যান রবিনিয়ো। মাঠে পড়ে থাকা এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের গায়ে অকারণেই জোরে বল মেরে বসেন অনিক হোসেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান রবিনিয়ো। দুই পক্ষের মধ্যে ছড়ায় উত্তেজনা। রেফারি তিন হলুদ কার্ড এবং অনিককে লালকার্ড দেখান।
তবে ১০ জনের দলের বিপক্ষে যেভাবে খেলার কথা সেভাবে খেলেনি বসুন্ধরা। ৫৭ মিনিটে রবিনিয়োর শট বাইরের জাল কাঁপায়। ১০ মিনিট পর বক্সে মোহামেডানের ইয়াসমিন মোসিডোনিভিকির সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে পড়ে যান এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। রেফারি সাইমুম হাসান শুরুতে পেনাল্টির বাঁশি বাজালেও পরে সহকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে তা বাতিলও করে দেন।
এই অর্ধেও বসুন্ধরা গোলকিপার জিকোকে দিতে হয়নি বড় পরীক্ষা। ফলে হার দিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে শন লেনের দলকে।
বসুন্ধরা ৭ ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। সমান ম্যাচে মোহামেডান দ্বিতীয় হারে আগের ৯ পয়েন্টে ষষ্ঠ স্থানে।