Published : Saturday, 5 March, 2022 at 12:00 AM, Update: 05.03.2022 12:32:53 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক:
দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে যদি জনগণের ভোটে
মেয়র নির্বাচিত হন তাহলে- কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের গত ১০ বছরের সকল
অনিয়মের পরিবর্তন করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা জানিয়েছেন সিটি নির্বাচনের সম্ভাব্য
মেয়র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এডভোকেট আনিসুর
রহমান মিঠু। তিনি গতকাল দৈনিক কুমিল্লার কাগজের অনলাইন প্লাটফর্ম
সিকেটুয়েন্টিফোর ডট টিভি’র ‘ভোটের মাঠে কথার লড়াই’ অনুষ্ঠানে কুমিল্লা
সিটির ভোটারদের কাছে এই প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সকল প্রার্থীকে
বলতে হবে তিনি কি করতে চান। পরিষ্কার ভাবে বলতে হবে। আমি আমার পরিকেল্পনা
তুলে ধরেছি, অন্যান্যদেরও সেটা করতে হবে। তাহলে ভোটররা তুলনা করতে পারবে।
সঠিক মানুষ বাছাই করতে ভোটারদের জন্য সহজ হবে। ভোটাররা এমন কোন মানুষ চান
না যারা নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে ভুলে যান। তবে, ভোটাররা তাদের
করনীয়টা সব সময় ঠিক মত করেন না। জনগণের বুঝা উচিত- সিটি কর্পোরেশনের ভোটের
মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয় না।তাই জনগণকে বুঝতে হবে কে তাঁর জন্য কাজ
করবে। তাঁর শহরের জন্য কাজ করবো। তাই ভোটারদের উচিত নিজেদের ভালোর জন্য
জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে। আমি যদি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে মেয়র নির্বাচন
করে নির্বাচিত হই তাহলে আগে- কুমিল্লা সিটির গত ১০ বছরের অনিয়ম দূর করবো
আগে। আমি মেয়র নির্বাচন করতে চাই, তার প্রথম কারণ আমার যে রাজনৈতিক দল
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আরো উন্নয়ণ করতে চাই। দলকে আরো বেশি সাংগঠনিক ভাবে
তৈরী করবো। দ্বিতীয় কারন, হলো আমি এই শহরটিকে বিশ্বমানের করতে চাই। এই
শহরের মানুষের সেবা করতে চাই।
দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে আনিসুর রহমান মিঠু
বলেন, একটা সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বলতে কিছু ছিলো না।
এখন কিন্তু এখন এই নির্বাচন গুলো দলীয় মনোনয়নে হয়। সুতরাং আমি যেহেতু
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে- কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
নির্বাচনে নিজে আওয়ামী লীগের নৌকা পেলে নৌকাকে বিজয়ী করবো, অন্য কেউ নৌকা
পেলেও তাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করবো। বঙ্গবন্ধু জাতির জনক শেখ মুজিবুর
রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও নৌকার বাইরে
গিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবো না।
আনিসুর রহমান মিঠু কুমিল্লা সিটি
কর্পোরেশন নিয়ে তার পরিকল্পনা বিষয়ে জানান, প্রথমত- পরিকল্পনা দরকার। শহরে
সিসি ক্যামেরা থাকতে হবে। স্কুল, হাসপাতাল সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।
অনিয়ম দূর করতে সিসি ক্যামেরা অত্যন্ত জরুরী। একটি প্রধান ড্রেন নির্মান
করা হবে- গোমতী নদী থেকে ডাকাতিয়া নদী পর্যন্ত। এই ড্রেনের সাথে অন্যান্য
ড্রেনগুলো সংযুক্ত থাকবে। ট্রাফিক জ্যাম দেখতে চাইনা। সিটি কর্পোরেশনের
সদর দক্ষিণ উপজেলার অংশটুকু এখনো পরিপূর্ণ গ্রামের মত। সেখানে বড় রাস্তা,
স্কুল এবং হাসপাতাল করা হলে সেখানে নগরায়ন হবে। শহর ছড়িয়ে যাবে । ডাস্টবিন
থাকবে অত্যাধুনিক। ছোট ছোট ডাস্টবিন,। সিটি কর্পোরেশনের এ্যাম্বুলেন্স
থাকবে। গোমতী নদীর ভেতর বাহির বিনোদন কেন্দ্র তৈরী হতে পারে। এই শহরে বন
আছে, পাহাড় আছে। উন্নয়ণ করতে হলে, শুধু স্বপ্ন থাকতে হবে। আমরা সম্প্রীতির
শহর দেখতে চাই। মাদক কঠোর হস্তে দমন করবো। দশতলা টাউন হল করতে চাই। এখন যে
টাউন হল আছে তার সম্মুখ চিত্র ঠিক রেখে কনতুন একটি টাউন হল করতে চাই। টাউন
হলে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী করতে চাই। আন্তরিক হলে কুমিল্লাকে সত্যিই একটি
আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। আমি কুমিল্লার সর্বস্তরের মানুষের কাছে
অনুরোধ করবো – আপনারা এই শহরের ভালোর কথা চিন্তা করে আপনাদের ভোটটি দিবেন।
এই শহরটা বাংলাদেশের মধ্যে জঞ্জাল হয়ে উঠেছে - আমরা সেটা চাইনা। এই
কংক্রিটের জঞ্জাল, ধুলো ময়লার শহর, রোগ জীবানুর শহর, সিসি ক্যামেরা
নাই-নিরাপত্তা নাই, এখানো ভালো পার্ক নাই বিনোদন কেন্দ্র নাই। আমরা
রোগাক্রান্ত শহরকে দেখতে চাই না। দেশের বাইরে কখনো কোন পরিকল্পিত সুন্দর
শহর দেখি- তখন আমার মনে হয় আমার শহরটি কেন এমন হবে না। আন্তরিক হলেই
আমাদের এই শহরটিকেও আমরা আধুনিক শহর করতে পারবো। আমি যদি মনোনয়ন পাই,
কুমিল্লার মানুষ যদি আমাকে ভোট দিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র
নির্বাচিত করে - আমি তাদের আশা আকাঙ্খা পূরণ করবো।
এডভোকেট আনিসুর
রহমান মিঠু, আসন্ন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সম্ভাব্য মেয়র
প্রার্থী। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক। জেলা
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক। কুমিল্লা আদালতের একজন বিশিষ্ট আইনজীবী।
এর আগে ২০১৭ সালে নির্বাচনেও তিনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দীতা করেন।