‘এটি ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত। আমি মনে হচ্ছিল চে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন, আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল। চে আমাকে বললেন, নিজেকে শান্ত করো। ভালো করে লক্ষ্য স্থির করো। তুমি একজন মানুষকে মারতে যাচ্ছো। আমি এক পা পিছিয়ে চোখ বন্ধ করলাম এবং গুলি করলাম’- এভাবেই বিপ্লবী চে গুয়েভারাকে হত্যার বর্ণনা দিয়েছিলেন মারিও তেরান। তিনি তখন বলিভিয়ার সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট ছিলেন।
চে গুয়েভারাকে আটকে নেতৃত্ব দেওয়া অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল গ্যারি প্রাডো বলেছেন, তেরান শুধু তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মারিও তেরান দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থ ছিলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ৮০ বছর বয়সে মারা গেছেন তেরান। স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে হত্যার শিকার হওয়ার সময় আর্জেন্টাইন ফিজিশিয়ান, লেখক, বিপ্লবী, কূটনৈতিক ও বিপ্লবী চের বয়স ছিল ৩৯ বছর। কিউবায় বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার। ফিদেল ক্যাস্ট্রো সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।