আবাসিক খাতে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম দুই চুলায় ১০৫ টাকা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। এখন আবাসিক গ্রাহকদের দুই চুলার জন্য মাসে বিল দিতে হয় ৯৭৫ টাকা। আর এক চুলার গ্যাসের ক্ষেত্রে ৬৫ টাকা বিল বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এখন এক চুলার জন্য মাসে বিল দিতে হয় ৯২৫ টাকা।
বুধবার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটরিয়ামে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের শুনানিতে এ সুপারিশ করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি কমিটি।
বিইআরসির সুপারিশ কার্যকর হলে দুই চুলার ক্ষেত্রে বিল বেড়ে হবে ১ হাজার ৮০ টাকা। আর এক চুলার ক্ষেত্রে হবে ৯৯০ টাকা।
শুনানিতে তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকে গ্রাহক পর্যায়ে মিটারভিত্তিক চুলার জন্য প্রতি ঘনমিটার ২৭ টাকা ৩৭ পয়সা প্রস্তাব করা হয়। যার বর্তমান মূল্য ১২ টাকা ৬০ পয়সা। এ প্রস্তাবের বিপরীতে ভোক্তা পর্যায়ে মিটারভিত্তিক চুলার জন্য প্রতি ঘনমিটার ১৮ টাকা করার সুপারিশ করেছে কারিগরি কমিটি।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে বুধবার রাজধানীর ইস্কাটনের বিয়াম ফাউন্ডেশনের মিলনায়তনে দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি করে বিইআরসি।
আগের দিনের শুনানিতে বিইআরসির দাম বাড়ানোর সুপারিশের তীব্র বিরোধিতা করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনটি বলছে, সরকারি কোম্পানি পরিচালনার জন্য রাজস্ব চাহিদার বেশি টাকা দেওয়ার সুযোগ নেই।
দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি গত জানুয়ারিতে গড়ে ১১৭ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল। এতে এক চুলায় ২ হাজার ও দুই চুলায় ২ হাজার ১০০ টাকা করার দাবি করা হয়েছিল।
বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল মঙ্গলবারের শুনানিতে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ১১৭ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়। দুর্বল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে না। সবার আগে জনগণ।