দক্ষিণ
আফ্রিকায় নতুন ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও
শেষ ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের ৯ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার
মাটিতে সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়ল টাইগাররা। সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া
১৫৫ রানে লক্ষ্যে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ১৪১ বল হাতে রেখেই।
রান তাড়ায় দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
উদ্বোধনী
জুটিতে লিটন দাসকে নিয়ে গড়েন ১২৭ রানের জুটি। ৫৭ বলে ৪৮ রান করে লিটন ফিরে
গেলেও অবিচল থাকেন তামিম। সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ম্যাচ ও সিরিজ জিতিয়ে মাঠ
ছাড়েন তিনি। ৮২ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। সাকিব অপরাজিত থাকেন ১৮
রানে।
এর আগে, টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ দশমিক ৫ ওভারে ১৫৪ রানে
অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ ৯ ওভারে ৩৫ রান
দিয়ে শিকার করেন পাঁচটি উইকেট। তাসকিন শুরুটা করেছিলেন কাইল ভেরেইনেকে
দিয়ে। এরপর তিনি একে একে সাজঘরে পাঠান জানেমান মালান, প্রিটোরিয়াস, ডেভিড
মিলার ও কাগিসো রাবাদাকে।
দুটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। একটি করে
উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রোটিয়াদের পক্ষে
ওপেনার জানেমান মালানের ৩৯ ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটারই বলার মতো রান করতে
পারেননি। শেষদিকে কেশব মহারাজ ২৮ রান করেন। এছাড়া ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ২০ ও
ডেভিড মিলার ১৬ রান করেন। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২
রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এর আগেও সিরিজ জয়ের ইতিহাস আছে
বাংলাদেশের। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের মাটিতে প্রোটিয়াদের হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ
জিতেছিল টাইগাররা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এটিই বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ
জয়।