শিবির সন্দেহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে রাজধানীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) মধ্যরাতে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার ধুপখোলা এলাকার একটি মেস থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একাধিক নিষিদ্ধ ইসলামী বই, শিবির সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, ল্যাপটপ, মোবাইলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের শুক্রবার (২৫ মার্চ) আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গেন্ডারিয়ার থানার ১৬বি/১ দ্বীননাথ সেন রোডের বিল্ডিং বাড়ির ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাটের মেস বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শারমিনা আলম, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর নাহিদুল ইসলামসহ ২০ জনের একটি টিম এ অভিযানে অংশ নেয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— সংগীত বিভাগের আল-মামুন রিপন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. ফাহাদ হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৌহিদুর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের মো. মেহেদী হাসান (মাহদী), ইতিহাস বিভাগের ইসরাফিল হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম আলী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী হাসান ও ওবাইদুল ইসলাম, মনোবিজ্ঞান বিভাগের আবদুর রহমান (অলি), হিসাববিজ্ঞান বিভাগের রওসন উল ফেরদৌস, বাংলা বিভাগের শ্রাবন ইসলাম রাহাত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৌহিদুর রহমান।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, শিক্ষার্থীদের আটকের খবর শুনে পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী যদি নির্দোষ হয়, আমরা বলেছি তাদের যেন হয়রানি না করা হয়।