ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
টানা চতুর্থ মৃত্যুহীন দিন, ৫৬ জেলায় নেই নতুন রোগী
Published : Sunday, 3 April, 2022 at 5:44 PM
টানা চতুর্থ মৃত্যুহীন দিন, ৫৬ জেলায় নেই নতুন রোগীগত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে টানা চারদিন করোনাভাইরাসে মৃত্যুশূন্য দিন দেখল বাংলাদেশ।  এছাড়া দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫৬টি জেলায় নতুন করে কারো করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া যায়নি।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে এই ৫৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ।

নতুন রোগীদের নিয়ে মহামারীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৭৭০ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা আগের মতই ১২২ জন রয়েছে।

সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন আরও ৫৯৬ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৫১০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। 

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে।  ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। 

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। 

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। 

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল।  কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করে।  সম্প্রতি সে পরিস্থিতি প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।