Published : Tuesday, 5 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 05.04.2022 12:46:12 AM
সাহ্রী
খাওয়া সুন্নত, এতে অনেক বরকত রয়েছে। হযরত আনাছ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল
(স.) ইরশাদ করেন, তোমরা সাহ্রি খাও, কারণ সাহ্রিতে বরকত নিহিত রয়েছে। হযরত
আমর ইবনুল আছন (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, আমাদের ও আহলে
কিতাবিদের রোজার মধ্যে পার্থক্য হল সাহ্রি খাওয়া। সাহ্রির সময় হল শেষ রাত।
আমরা
সাহ্রি গ্রহণ করবো কী নিয়তে ? সাধারণত আমাদের মনে এই চিন্তা থাকে যে,
সাহ্রি না খেলে সারাদিন ক্ষুধায় কষ্ট পেতে হবে। কাজেই ক্ষুধার কষ্ট থেকে
বাঁচার জন্য সাহ্রি খেতে হয়। এই চিন্তায় সাহ্রি খেলে সাহ্রির সহীহ নিয়ত হবে
না। এই নিয়তে সাহ্রি খেলে ক্ষুধার কষ্ট থেকে বাঁচা যাক আর না যাক সাহ্রির
সাওয়াব ও বরকত হতে আমরা বঞ্চিত হব। সাহ্রি খাওয়া সুন্নত এই নিয়তে খেতে হবে।
তা হলে না খাওয়ার কষ্ট থেকেও বাঁচা যাবে এবং সুন্নত আদায় করার সাওয়াবও
পাওয়া যাবে। সাহ্রি খাওয়ার মধ্যে আমরা আর একটি নিয়ত করব, তাহল বরকত অর্জন
করা। কারণ হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী সাহ্রিতে বরকত রয়েছে। তিবরানী শরীফের এক
হাদিসে রয়েছে, যারা সাহ্রি খায় আল্লাহ তাআলা তাদেরকে রহমত দান করেন এবং
ফেরেস্তারা তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন।
এ হাদিসের আলোকে সাহ্রি খাওয়ার
সময় আল্লাহর রহমত এবং ফেরেস্তাদের দোয়া অর্জন করার নিয়ত করব। আল্লাহ
আমাদের সহীহ নিয়তে সাহ্রি খাওয়ার তাওফিক দান করুন।