পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এরপর ইমরান খানের পরামর্শ মেনে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্য দেশটিতে নির্বাচন করতে হবে।
কিন্তু আগামী তিন মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনে অপারগতার কথা জানিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। কমিশনের একজন কর্মকর্তার বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যম ডন এই খবর প্রকাশ করেছে।
ওই নির্বাচন কর্মকর্তা কারণ হিসেবে বিভিন্ন আইনগত এবং প্রক্রিয়াগত চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ ওই নির্বাচনী কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য ৬ মাসের প্রয়োজন।
শুধুমাত্র আপত্তি জানতেই এক মাস সময় প্রয়োজন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আরেক মাস সময় লাগে আপত্তি মোকাবেলা করতে। এছাড়া বিশাল ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে অন্তত ৩ মাস সময় প্রয়োজন হবে। উপরন্তু নির্বাচনি সামগ্রী যেমন ব্যালট পেপার, পোলিং স্টাফদের প্রশিক্ষণও চ্যালেঞ্জের বিষয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে ডনের খবরে আরও জানানো হয়েছে, স্পিকারের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার আদেশ দিতে পারেন আদালত।