সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্কুলছাত্রী সানচিতা হোসেন সেঁজুতি হত্যার ৭ দিন পর প্রেমিক আবদুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার দুপুরে তাকে সাতক্ষীরা আদালতে পাঠানো হয়।
নিহত প্রেমিকা জালালাবাদ মাস্টারপাড়া গ্রামের পলাশ হোসেনের মেয়ে সানচিতা হোসেন সেঁজুতি। তিনি অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
গ্রেফতারকৃত প্রেমিক কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে আবদুর রহমান। তিনি কলারোয়ার হাবিবুল ইসলাম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গ্রেফতারকৃত আবদুর রহমান জানান, সেঁজুতির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি মানতে পারেনি সে। এরপর সেঁজুতিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। এক পর্যায়ে গত ২৭ মার্চ রাতে আবদুর রহমান সেঁজুতিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এদিকে পালানোর সময় কোনো একটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আবদুর রহমান সেঁজুতিকে ধাক্কা দিলে পাশের বাড়ির দেওয়ালে আঘাত লেগে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান না ফেরায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আবদুর রহমান গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সেঁজুতিকে। এরপর লাশ প্রতিবেশী আলাউদ্দিন সরদারের কুল বাগানের ড্রেনে ফেলে দেয়। লাশও সে একাই ফেলেছে বলে স্বীকার করেছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা জানান, গ্রেফতারকৃত আবদুর রহমানকে রোববার সরাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কলারোয়া পৌরসভার আফজালের মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আবদুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গত ২৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সেঁজুতির মরদেহ উপজেলার জালালাবাদ মাস্টারপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিন সরদারের কুল বাগানের ড্রেন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত সেঁজুতির মা লায়লা পারভীন বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজনকে আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।