Published : Saturday, 9 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 09.04.2022 12:49:07 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ||
স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় এক মাদরাসা ছাত্রীকে গণর্ধষণের হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্বামী জাহিদ ভূঁইয়া ও তাঁর চাচাতো ভাই অলী উল্লার বিরুদ্ধে। ৪ জনকে বিবাদী করে স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে থানায় অভিযোগ করায় ওই হুমকি দেওয়া হয়। অলী উল্লার হুমকির অডিও রেকর্ড ফেইসবুক, হোয়ার্টসআপ ও ইমুসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কুরুন্ডি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জাহিদ ভূঁইয়া পাশের কুড়াখাল গ্রামের জসিম ভুইয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগি মাদরাসা ছাত্রী জানায়, জাহিদ ভূঁইয়ার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়ে তার ফাঁদে পা বাড়াই। দীর্ঘ সাত মাস প্রেম করার পর গত ২ ফেব্রুয়ারি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে জাহিদের চাচাতো ভাইয়ের বাড়ি রামচন্দ্রপুরে নিয়ে যায়। ওখানে হাফেজ নজরুল ইসলাম নামের এক হুজুর দিয়ে আমাদের বিয়ে পরান। জাহিদের বড় দুই ভাই বিয়ের বাকি থাকায় আমাদের বিয়ে গোপন রাখার পরামর্শ দেয়। এতেও আমি তার কথা মেনে নেই। বিয়ের পর জাহিদ আমাকে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে যেত। মাস খানেক যেতে না যেতেই আমাদের বিয়ের কথা ফাঁস হয়ে যায়। আমাকে শ্বশুরালয়ে তুলে নিতে জাহিদের সাথে যোগাযোগ করলে সে আমাদের বিয়েকে অস্বীকার করে। এক পর্যয়ে সে আমার মোবাইল নাম্বারটি ব্লক করে দেয়। অন্য নাম্বার দিয়ে জাহিদের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। পরে উপায়ন্তু না পেয়ে জাহিদের চাচাত ভাই রামচন্দ্রপুরের অলিউল্লা ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করি। সে আমাকে জাহিদের সাথে যোগাযোগ না রাখার জন্য শাসায়। জাহিদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আমাকে গণধর্ষণ করা হবে বলে হুমকিও দেয়।
এ বিষয় হাফেজ নজরুল ইসলাম বলেন, আমাকে তারা নোটারী পাবলিকের কাগজ দেখিয়েছে। তাই আমি শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে পরিয়েছি। বিষয়টি অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। আমি মেয়েকে ছেলের ঘরে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
অভিযুক্ত জাহিদের চাচাতো ভাই অলিউল্লাহ ভুইয়া বলেন, আমি মেয়েকে কোন প্রকার হুমকি ধমকি দেইনি। সে আমার কথা এডিট করে প্রচার করছে।
অভিযুক্ত জাহিদের চাচা ফুল মিয়া বলেন, ভাতিজা বিয়ে করেছে সমস্যা কি? আমরা মেয়েকে সহসাই ঘরে তুলে আনবো। অপর দিকে অভিযুক্ত জাহিদ ভুইয়া বলেন, আমি বিয়ে করিনি। প্রমাণ থাকলে দেখাতে বলেন, আমি মেনে নিব।
বাঙ্গরা থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে আমার নিকট অভিযোগ করেছে। তবে গণধর্ষণের হুমকির বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।