Published : Monday, 11 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 11.04.2022 12:46:40 AM
হাফেজ মাওলানা মো. মিজানুর রহমান ||
ছায়া
আর স্বপ্নের মত এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর বিজয় আর কামিয়াবী কতকাল টিকবে। মাহে
রমজানে যেই চার আমল বেশি করার জন্য হাদিসে বলা হয়েছে তার মধ্যে দুইটি হল-
আল্লাহর নিকট বেশি বেশি জান্নাত পাওয়ার জন্য দোয়া করা এবং জাহান্নাম থেকে
মুক্তি পাওয়ার জন্য দোয়া করা। পৃথিবীতে মানুষের অনেক স্বপ্ন থাকে। অনেক সময়
সেই স্বপ্ন পূরণ হয়, স্বপ্ন যখন পূরণ হয় সে আত্মতৃপ্তিতে ভোগে, অনেক
আনন্দিত হয়। নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করে, নিজেকে বিজয়ী বা কামিয়াবী মনে
করে। কিন্তু আসলে কি ঠিক ? ছায়া আর স্বপ্নের মত এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর বিজয়
আর কামিয়াবী কতকাল টিকবে। কারণ তিনি নিজেইত ধ্বংস হয়ে যাবেন এবং পৃথিবীতে
মৃত্যু নামক কালবৈশাখী নিমিশেই তার সকল কামিয়াবী আর সফলতা ধ্বংসস্তূপে
পরিণত করবে।
এই জন্য আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ ফরমান, তোমরা
দুনিয়াকে প্রাধান্য দিচ্ছ (অর্থাৎ দুনিয়ার সফলতাকেই প্রকৃত সফলতা মনে করছ।)
বরং আখেরাতই হচ্ছে উত্তম ও চিরস্থায়ী (অর্থাৎ আখেরাতের সফলতাই হচ্ছে
প্রকৃত সফলতা)। আখেরাতের এই সফলতা সম্পর্কে প্রিয় নবীজি (স.) বলেছেন, যিনি
আখেরাতে সফলতা অর্জন করবে অর্থাৎ জান্নাতি হবে তাকে এমন নায নিয়ামত দেয়া
হবে যা কোন চোখ কোনদিন দেখেনি, কোন কান কোনদিন শুনেনি এবং কোন অন্তর কখনো
কল্পনাও করতে পারেনি। আমরা যদি অল্প সময় কল্পনার জগতে থাকি তাহলে দেখা যায়
কিনা করতে পারি আর কি না হতে পারি। কিন্তু একজন পরকালে সফলতা অর্জনকারী
একজন জান্নাতি ব্যক্তি সম্পর্কে নবীজি (স.) বলেন, তাকে এমন সম্মান, আর নায
নেয়ামত দেয়া হবে যা কোন অন্তর কখন কল্পনাও করতে পারেনি। পবিত্র মাহে রমজান
চতুর্থ যে কাজ বেশি করতে হবে তাহল আল্লাহর নিকট বেশি বেশি জাহান্নাম থেকে
মুক্তি চাইতে হবে। হাদীস থেকে তার সামান্য বিবরণ- রাসূল সা. ইরশাদ করেন,
জাহান্নামিদের মধ্যে সবচেয়ে কমশাস্তি যার হবে তার বিবরণ হলো- দুই ফিতা
বিশিষ্ট একজোড়া পাদুকা তাকে পড়ানো হবে। এর উত্ত্যপ্ততার কারণে জাহান্নামি
ব্যক্তির মাথার মগজ টগবগ করে পড়বে।