চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে পাকিস্তানে। এরই মধ্যে জাতীয় সংসদে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটের মুখে পড়ে ক্ষমতায়চ্যুত হয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই অনাস্থা ভোট নিয়েও হয়েছে নানা টালবাহানা। অবশেষে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে অপমানজনক এই পরিস্থিতির মুখে পড়েন ইমরান খান।
পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী দেশ আফগানিস্তান। তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর দেশটির সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করা হয়। তাই পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আফগানিস্তানেও প্রভাব ফেলতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের ডেপুটি মুখপাত্র ইনামুল্লাহ সামাঙ্গানি।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দেশটির চলমান ঘটনাপ্রবাহ আফগানিস্তানের ওপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
একই সঙ্গে দেশটিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কামনা করেছে আফগানিস্তানের বর্তমান সরকার।
ইমরান খান সরকারের পতন সংক্রান্ত ঘটনাপ্রবাহকে স্রেফ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে ইনামুল্লাহ সামাঙ্গানি বলেন, পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক জটিলতা শিগগিরই কেটে যাবে বলে কাবুল আশা করছে।
পাকিস্তানকে আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে তালেবান সরকারের এই ডেপুটি মুখপাত্র বলেন, দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ রক্ষার্থে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী রাখার আহ্বান জানাচ্ছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার।
অনাস্থা ভোটে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সোমবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটাভুটি হবে।
এতে প্রার্থী হয়েছেন মুসলিম লীগের নেতা শেহবাজ শরিফ ও ইমরান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি। সূত্র: টোলো নিউজ