Published : Wednesday, 13 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 13.04.2022 12:57:32 AM
হাফেজ মাওলানা মো. মিজানুর রহমান ||
গোনাহের
জন্য মাফ চাওয়া এটাও একটা স্বতন্ত্র আমল। নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, রোজা
রাখলে আল্লাহ খুশি হন। তদ্রুপ গোনাহের জন্য মাফ চাইলেও আল্লাহ খুশি হন। যত
বেশি মাফ চাওয়া হয় ততবেশি আল্লাহ খুশি হন। কোন কারণে ভুল হয়ে গেলে অপরাধ
হয়ে গেলে অহংকার করে ক্ষমা না চাওয়া এটা হল অভিশপ্ত ইবলিসের চরিত্র।
আল্লাহতালা তা পছন্দ করেন না। কোন বান্দা ভুল করলে, অপরাধ করলে, তাওবা করে
আল্লাহ পাকের নিকট ফিরে আসুক আল্লাহপাক তা পছন্দ করেন, বান্দার প্রতি খুশি
হন। বান্দার তাওবা দ্বারা আল্লাহ খুশি হন, এর একটা উদাহরণ-রাসুল (স.) হাদিস
শরীফে তুলে ধরেছেন। প্রিয় নবী (স:) এরশাদ ফরমান, কোন একজন মানুষ একটা উটের
পিঠে চড়ে মরুভূমি দিয়ে যাচ্ছিল তার সাথে আর কেউ নেই। ঐ উটের পিঠে রয়েছে
তার খাদ্য ও পানীয় বস্তু। লোকটি মরুভূমির ভিতর দিয়ে চলছে। দীর্ঘ সময় চলার
পর লোকটি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। একটু বিশ্রামের জন্যে একটি গাছের সাথে তার
উটটিকে বেঁধে গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুম থেকে উঠে দেখতে ফেল তার উটটি
সেখানে নেই। তখন সে ভাবল নির্ঘাত আমাকে এই মরুভূমিতে মরতে হবে। কারণ এখানে
খাদ্য পানীয় অর্থাৎ বাঁচার কোন উপকরণই নেই। এই দুশ্চিন্তা আর হারানো উটটিকে
খুঁজতে খুঁজতে লোকটি ক্লান্ত হয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ল। হঠাৎ তার ঘুম ভাঙ্গলে,
চোখ খুলে দেখে তার হারানো উটটি খাদ্য পানীয় বস্তুসহ সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। সে
এত খুশি হল যে শুকরিয়া স্বরূপ তার বলার কথা যে, হে আল্লাহ তুমি আমার রব আর
আমি তোমার বান্দা। কিন্তু একথা না বলে খুশিতে বলে ফেলে, তুমি আমার বান্দা
আর আমি তোমার রব। খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল। এই উদাহরণ পেশ করে প্রিয় নবী
(স.) এরশাদ ফরমান আল্লাহতালা বান্দার তাওবা দ্বারা এর চেয়ে বেশি খুশি হন।
তাই আমরা মাগফেরাতের এই মাসে সকল কৃত অপরাধের জন্য আল্লাহতালার নিকট খালেছ
ভাবে তাওবা করবো ইনশাল্লাহ।