১৮৩ দিন পর চীনের উত্তরাঞ্চলে অবতরণ করেছেন চীনের তিন নভোচারী। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, এর মধ্য দিয়ে চীনের সবচেয়ে দীর্ঘ মানুষবাহী মহাকাশ অভিযান শেষ হয়েছে।
চীনের তিয়ানগোন মহাকাশ স্টেশনের একটি মডিউলো ছয় মাস কাটানোর পর বেইজিংয়ের স্থানীয় সময় সকাল দশটার কিছু আগে পৃথিবীতে অবতরণ করেন তিন নভোচারী। এদের মধ্যে দুই জন পুরুষ আর অপর জন এক নারী। তারা হলেন ঝাই ঝিগাং, ইয়ে গুয়ানফু এবং ওয়ান ইয়াপিং ।
সিসিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ‘শেনঝু ১৩ এর পৃথিবীতে পুনরায় প্রবেশকারী ক্যাপসুল সফলতার সঙ্গে অবতরণ করেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) অংশগ্রহণ বঞ্চিত হয়ে চীন গত দশ বছর ধরে তিয়ানগোন স্টেশন তৈরির প্রযুক্তি উন্নয়ন ঘটিয়েছে। আইএসএস এর বাইরে এটিই মহাকাশে থাকা প্রথম কোনও স্টেশন।
২০৩০ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে বড় মহাকাশ শক্তি হয়ে উঠতে চায় চীন। ইতোমধ্যেই মঙ্গলে মহাকাশ যান পাঠানোর পাশাপাশি চাঁদেও অনুসন্ধান চালিয়েছে চীন। দেশটির জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন জানিয়েছে. ২০২৯ সাল নাগাদ চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সিসিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, অবতরণকারী ক্যাপসুলটি ধূলার মেঘের মধ্যে অবতরণ করছে। নভোচারীরা ক্যাপসুল থেকে বেরিয়ে জানান তারা ভালো অনুভব করছেন।
গত বছরের নভেম্বরে মহাকাশে হেঁটে প্রথম চীনা নারী হিসেবে মহাকাশে হাঁটার গৌরব লাভ করেন ওয়ান ইয়াপিং। ওই অভিযানে তিনি এবং তার সহকর্মী ঝাই ঝিগাং মহাকাশ স্টেশনে কিছু সরঞ্জাম স্থাপন করেন।
মিশনের কমান্ডার ৫৫ বছরের ঝাই ঝিগাং একজন সাবেক যুদ্ধবিমানের পাইলট। ২০০৮ সালে প্রথম চীনা নাগরিক হিসেবে মহাকাশে হাঁটেন তিনি। আর ইয়ে গুয়ানফু চীনের পিপলস লিবারেশ আর্মির পাইলট।
সূত্র: আল জাজিরা