স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে বরাদ্দকৃত অর্থের বাইরে টেন্ডার হয়ে থাকলে তা বাতিলের জন্য কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম। তা না হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার ঢাকার মিন্টু রোডে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলামের সাথে দেখা করতে গেলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে এ নির্দেশ দিয়ে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যোগ্য সকল ঠিকাদারের অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকতে হবে।। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে এই তথ্য।
জানা গেছে, ভোটের সময় নানা কৌশলে দেওয়া ৪১২ কোটি টাকার টেন্ডার দিয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম স্পষ্টভাবেই বলেছেন, উন্নয়ন বরাদ্দের অর্থ নয়ছয় করার সুযোগ নেই্। কুমিল্লার মানুষের কাঙ্খিত উন্নয়নের জন্যই ১৫৩৮ কোটি টাকার মত বিশাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লার মানুষকে এই উন্নয়নের স্বাদ দিতে হবে।
সূত্র আরো জানায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু শনিবার ঢাকার মিন্টু রোডে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের কার্যালয়ে যান। এসময় মেয়র তাঁর সময়ের মধ্যে ৪১২ কোটি টাকার টেন্ডারের কথা জানান। মন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, চলতি অর্থ বছরের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শুধু সেই বরাদ্দকৃত টাকার টেন্ডার করতে হবে। এর বাইরে এক টাকাও নয়। যদি এর বাইরে টেন্ডার করা হয়ে থাকে তা বাতিল করতে হবে। তা না হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাক্ষাতের সময় মেয়র সাক্কু স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে ৪১২ কোটি টাকার দরপত্রের বিষয়ে অবহিত করলে মন্ত্রী বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। যাতে যোগ্য সকল ঠিকাদার টেন্ডারে অংশ নিতে পারেন। সুনির্দিষ্ট দু’একজনকে সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান পরিষদ ৪১২ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করে। যা নির্বাচনের সময় বর্তমান বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীকে সুবিধা দেওয়ার সামিল বলে মনে করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কুমিল্লার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য সংবাদপত্র দৈনিক কুমিল্লার কাগজে ‘ভোটের সময় ৪১২ কোটি টাকার কাজ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে এ নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করে। নির্বাচনের পূর্বে কবরস্থান ও শ্মশান সংস্কারের নামে ৫৬ কোটি ৫৭ লাখ এবং সাম্প্রতিক সময়ে নির্মিত ও নিম্নমানের কাজের জন্য ভেঙ্গে যাওয়া গোমতী বাইপাস সড়ক কাপের্টিয়ের নামে ২০ কোটি টাকার দরপত্র আহবান করা হয়।