আইপিএলের ২৯তম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে গুজরাট টাইটান্স। রবিবার (১৭ এপ্রিল) পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করা চেন্নাই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে ও এক বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় গুজরাট।
১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো করতে পারেনি গুজরাট। দলীয় ১৬ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। তবে পাঁচে ব্যাটিংয়ে নামা ডেভিড মিলার একাই দলের হাল ধরেন। তিনি শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। শেষ ওভারে ১৩ রান দরকার হলে ঝড় তুলে জয় পাইয়ে দেন গুজরাটকে। দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটার ৫১ বলে ৮টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৯৪ রানে অপরাজিক থাকেন। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ বলে ৪০ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন এ ম্যাচে গুজরাটের নেতৃত্ব দেওয়া রশিদ খান।
চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে গুজরাটের নিয়মিত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া না থাকায় নেতৃত্বের ভার উঠেছিল রশিদ খানের কাঁধে।ম্যাচ জয়ের পর তিনি জানান, অধিনায়কত্বটা তার কাছে স্বপ্নের মতো। আর নিজে যে অলরাউন্ডার, মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটিও। এর পেছনের অন্যতম কারণ এ ম্যাচে দলের বিপদের সময়ে ক্রিস জর্ডানের এক ওভারে ২৫ রান নিয়ে দলকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
রশিদ খান বলেন, দলকে নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা স্বপ্ন। সবমিলিয়ে এই জয়টা সেই স্বপ্নকেই অবিস্মরণীয় করে রাখল। মিলার যখন ব্যাট করতে নামে সেই সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ম্যাচটাকে যতটা সম্ভব গভীরে নিয়ে যাব। আমরা জানতাম ৭ ওভারে ৯০ রান আমরা করতে পারব। তাকে বলেছিলাম বল তোমার জোনে থাকলেই ব্যাট চালাও। আমাদের লোয়ার অর্ডারটা খুব ভালো অনেকেই বড় শট মারতে পারে।
এই ম্যাচে একজন ব্যাটার কম নিয়ে মাঠে নামে গুজরাট। এ প্রসঙ্গে রশিদের দাবি, আমি প্রথম পাচটা ম্যাচে একেবারেই ব্যাট করার সুযোগ পাইনি। নিজেকে আমি একজন অলরাউন্ডার হিসেবেই মনে করি এবং সেই দায়িত্বটাও পালন করতে চাই। হ্যাঁ, আমরা একজন ব্যাটার কম নিয়ে খেলেছি। তবে ছয়-সাতে নামা ব্যাটাররা দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ শেষ করতে পারে। আমি নিজের ব্যাটিং দক্ষতার উপর ভরসা রেখেছিলাম। মিলারের সঙ্গে আলোচনাও করি। মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের জায়গায় বল পেলেই বড় শট মারার চেষ্টা করেছি।
গুজরাটের যখন তিন ওভারে ৪৮ রানের দরকার তখন ক্রিস জর্ডানের বিরুদ্ধে ১৮তম ওভারে রশিদ খান ২৫ রান করেন। মূলত ওই ওভারই খেলার মোড় ঘুরে যায়। এই প্রসঙ্গে রশিদর জবাব, জর্ডানের তৃতীয় ওভারের ওই সময়টায় আমাকে রান করার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হতো। এর একটা বড় কারণ ছিল বাউন্ডারিগুলো বেশ ছোট ছিল। আমি মিলারকে বলেছিলাম এই ওভারে ২০ রান করতে পারলে পরবর্তী দুই ওভারে আমরা ৩০ রান করতে পারব। সৌভাগ্যবশত আমি যেখানে চেয়েছিলাম চেন্নাইয়ের বোলাররা সেখানেই বল করেছে।