ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
রমজান কোরআন নাযিলের মাস
Published : Thursday, 21 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 21.04.2022 1:25:31 AM
রমজান কোরআন নাযিলের মাসপবিত্র মাহে রমজানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ইহা কোরআনে কারীম নাযিলের মাস। সুরা আল-বাক্কারা ১৮৫নং আয়াতে কারীমাতে আল্লাহতালা এরশাদ ফরমান- রমজান মাস হলো সেই মাস যাতে কোরআনে কারিম নাযিল করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে কারিমের বৈশিষ্ট্য থেকে সামান্য আলোচনা- এক. মহাগ্রন্থ আল-কোরআন রাব্বুল আলামিন এর পক্ষ থেকে একটি নির্ভুল ঐশী কিতাব। দুই. অবতীর্ণ হওয়ার পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত যার সমতুল্য কিতাব কেউ রচনা করতে পারবেনা। তিন. মানুষের ইহকালীন শান্তি পরকালীন মুক্তির একমাত্র পথ প্রদর্শক। যাকে অনুসরণ করলে প্রতিটি মানুষের জীবনের সকল ক্ষেত্রে ফিরে আসবে অনাবিল শান্তি আর সুখ। এবং প্রতিটি মানুষ তার মানযিলে মাকসুদ পেতে পারে অর্থাৎ পরকালের জীবনে জান্নাত লাভ করতে পারবে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে সুরা হাদিদে আল্লাহতালা এরশাদ ফরমান- তিনি সেই মহান সত্তা যিনি তাঁর বান্দা মুহাম্মদ (স.) এর উপর স্পষ্ট আয়াত সমূহ অবতীর্ণ করেছেন, যাতে করে তোমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যান। এখানে অন্ধকারের দুইটি দিক- একটি হল মানুষের ইহকালীন কর্মের সাথে সম্পৃক্ত। ইহকালীন কর্মের সাথে সম্পৃক্ত দিকটি নিয়ে যদি আমরা আলোচনা করি তাহলে আজকে গোটা সমাজের চিত্র আমাদের সামনে স্পষ্ট, জুলুম নির্যাতনের কলো থাবা কোথায় নেই। নেই কোথায় মজলুম মানুষের আত্মচিৎকার। হারিয়ে গেছে পরিবার আর সমাজের মায়ার বন্ধন, সমাজের প্রায় প্রতিটি মানুষ হয়ে গেছে আত্মকেন্দ্রিক। অপরজন বাঁচবে কি মরবে তা আমার দেখার বিষয় নয়। এই মানুষিকতার কারণে অন্যায় অবিচার দিনদিন বৃদ্ধিপাচ্ছে সুতরাং ঘুনেধরা এই সমাজটাকে যদি আবার সোনালী রঙ্গে রঙ্গীন করতে হয় তাহলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেতে আমাদেরকে আল্লাহ পাকের কোরআনের নির্দেশ অনুযায় চলতে হবে। ঈমান বা বিশ্বাসের সাথে সম্পৃক্ত অন্ধকার দিকটি হল কুফুর আর শিরিকের। পবিত্র কোরআনে কারীমে আল্লাহ তা’আলা এরশাদ ফরমান যে, এই কোরআন হল হেদায়েত সুতরাং যে ব্যক্তি এই কোরআনকে মানবে বা অনুসরণ করবে সে হেদায়েত প্রাপ্ত হবে অর্থাৎ কুফুর এবং শিরিক থেকে ঈমানের পথে থাকবে। কুফুর হল আল্লাহ তা’আলাকে অস্বীকার করা, পরকালকে অস্বীকার করা, আসমানী কিতাব সমূহ অস্বীকার করা, রিসালতকে অস্বীকার করা ইত্যাদি আর শিরিক হল ঈমান ও আমলে আল্লাহর সাথে কাউকে অংশীদার করে নেওয়া। যে কেউ হেদায়েতের উদ্দেশ্যে এই কোরআন পড়বে, অনুসরণ করবে সে ইনশাআল্লাহ হেদায়েত প্রাপ্ত হবে।