আবুল কাশেম হৃদয় ||
জাতীয়
পর্যায়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী এবার উদযাপিত
হবে কুমিল্লায়। ‘বিদ্রোহীর শতবর্ষ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তিন
দিনব্যাপি জন্মবার্ষিকীর জাতীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
থাকতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী তিনি স্বশরীরে অথবা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান
অতিথির বক্তব্য রাখবেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ জে এম
আবদুল্লাহ হেল বাকী বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক কুমিল্লার কাগজ সম্পাদক আবুল
কাশেম হৃদয়কে জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে লিখিতভাবে আমন্ত্রণ জানানো
হয়েছে। তিনি নিশ্চিত করলে বিস্তারিত জানা যাবে।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয়
পর্যায়ে ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী’ উদযাপন
অনুষ্ঠান কবির স্মৃতি বিজড়িত কুমিল্লায় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ১৮
এপ্রিল ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালা ভবনের সেমিনার
হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে.এম. খালিদ এমপি
সভাপতিত্ব করেন। সভায় মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলা একাডেমী,
জাতীয় যাদুঘর, গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক, নজরুল
ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালকসহ বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
সংস্কৃতি
মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব বাবুল মিয়া জানান, জাতীয়ভাবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল
ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘বিদ্রোহীর
শতবর্ষ’। করোনা মহামারীর কারণে গত বছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম
জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান ডিজিটালি আয়োজন করা হয়েছিল। এবারের নজরুল
জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান ১১ জ্যৈষ্ঠ, ২৫ মে সকাল ১১টায় নজরুল স্মৃতি
বিজড়িত কুমিল্লায় আয়োজন করা হবে।
জানা গেছে, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি
থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। সভাপতিত্ব
করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সংস্কৃতি সচিব।
তিনদিনের
অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে
অধ্যাপক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক, দ্বিতীয় দিনে অধ্যাপক মহীবুল আজিজ এবং তৃতীয়
দিনে কবি নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে
মনোনীত করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৩০ মিনিটের সাংস্কৃতিক পর্ব থাকবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী তা পরিবেশন করবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের যগ্ম সচিব এ কে এম আবদুল্লাহ হেল বাকি জানান, মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সামারী পাঠানো হয়েছে। তাঁকে প্রধান অতিথি
হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া
যাবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালে কুমিল্লায় জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় কবি
কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম জয়ন্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে অনুষ্ঠানে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির বক্তব্য রেখেছিলেন এবং বিশিষ্ট
শিক্ষাবিদ, নজরুল ইন্সটিটিউটের ট্রাস্ট্রি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামের
উদ্যোগে কুমিল্লা নজরুল ইন্সটিটিউট কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছিলেন। তৎকালীন
জেলা প্রশাসক মনজুরুর রহমান এটি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ
করেছিলেন।