Published : Saturday, 23 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 23.04.2022 1:06:32 AM
কোরআন
তেলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে হযরত ওসমান (রা.) হইতে বর্ণিত, রাসুল (স.)
এরশাদ ফরমান- তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যে নিজে কোরআন শরীফ শিখে
এবং অপরকে শিক্ষা দেয়। মোল্লা আলী ক্বারী অপর একটি হাদিস হতে নকল করেছেন,
যে ব্যক্তি কালামে পাক হাসিল করিল সে যেন নিজের কপালে নবুয়তের এলেম জমা
করিল। হযরত সহল তুম্ভরী (রহ.) বলেন, আল্লাহ তা’লার প্রতি মুহাব্বতের আলামত
হল, অন্তরে তাহার কালামের প্রতি মুহাব্বত হওয়া। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ
(রা.) হতে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ ফরমান তিনটি জিনিস কেয়ামতের দিন
আরশের নিচে থাকবে। এক. কালামে পাক। উহা সেই দিন বান্দার ব্যাপারে ঝগড়া
করিবে, অর্থাৎ কালামে পাক তেলাওয়াত এবং আমলকারীর ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলার
দরবারে জোরালো সুপারিশ করবে। দুই. আমানত। তিন. আত্মীয়তা। ইহা সেই দিন উচ্চ
আওয়াজে বলিতে থাকবে, যে ব্যক্তি আমাকে রক্ষা করিয়াছে- আল্লাহতালা তাহাকে
আপন রহমতের সাথে মিলাইয়া দিন। আর যে ব্যক্তি আমাকে ছিন্ন করেছে আল্লাহতালা
তাহাকে আপন রহমত হতে পৃথক করে দিন। হযরত আলী (রা.) রাসুল (স:) থেকে নকল
করিয়াছেন, যে ব্যক্তি কুরআন পড়িল অতঃপর উহা হিফজ ইয়াদ করিল এবং উহার
হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জানল, আল্লাহতালা তাকে জান্নাতে দাখিল
করিবেন। তাহার পরিবারের এমন দশ জন লোকের জন্য তাহার সুপারিশ কবুল করিবেন-
যাহাদের জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গিয়েছে। অতএব মাহে রমজান কোরআন নাযিলের
মাসে আল্লাহতালা আমাদের সকলকে বেশি বেশি কোরআন পড়ার, বুঝার ও আমল করার
তাওফীক দান করুন। আমিন।