ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মাসনূন ইতিকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত
Published : Tuesday, 26 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 26.04.2022 12:35:00 AM
মাসনূন ইতিকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত ইতিকাফ তিন প্রকার। প্রথম মাসনূন ইতিকাফ, দ্বিতীয় নফল ইতিকাফ, তৃতীয় ওয়াজিব ইতিকাফ। মাসনূন ইতিকাফ হলো রমজানুল মোবারকের বিশতম দিনের সূর্যাস্তের মুহূর্ত থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার আগ পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করা। রমজানের শেষ দশকের এই ইতিকাফ হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়াহ। সমাজের বা মহল্লার সকলের উপর এই সুন্নত পালন করা জরুরি। তবে দু'একজন পালন করলেই গোটা সমাজের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে। আর যদি কেউ আদায় না করে তাহলে গোটা সমাজ গোনাহগার হবে।
আম্মাজান আয়শা ছিদ্দীকা (র.) বলেন- নবীজী (স.) ইন্তেকাল পর্যন্ত সবসময় রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। এবং তাঁর স্ত্রীগণ বাড়িতে ইতিকাফ করেছেন। ইতিকাফকারীর জন্যে অতী জরুরী দুটি বিষয়: এক ইতিকাফের সবচেয়ে বড় রুকুন হলো- ইতিকাফ অবস্থায় ইতিকাফকারী মসজিদের সীমানার ভিতরেই অবস্থান করবে। পানাহার ঘুম জিকির আজকার সকল কিছু মসজিদেই করবে। অতী জরুরি ছাড়া এক মুহূর্তের জন্যও মসজিদের নির্ধারিত সীমানার বাহিরে যাওয়া যাবেনা। কেননা শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া ইতিকাফকারী ব্যক্তি যদি এক মুহূর্তের জন্যে মসজিদের বাহিরে যায় তাহলে তার ইতিকাফ শেষ হয়ে যাবে। দুই. মসনূন ইতিকাফের জন্যে রোজা রাখা শর্ত। যদি ইতিকাফকারী ব্যক্তি রোজা ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার ইতিকাফ শেষ হয়ে যাবে। তাই রোজা কোন ওযরবশতঃ ভাঙ্গা হোক কিংবা বিনা ওজরে ইচ্ছা করে ভাঙ্গা হোক তাহলে ইতিকাফ শেষ হয়ে যাবে।