মৃত স্ত্রীকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে স্বামী আয়নাল হক (৫০) নিহত হয়েছেন। বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ঘোগা এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ সোমবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অ্যাম্বুলেন্স চালক দ্বীন ইসলাম (৩৫) মারা যান। আহত আরও দু’জন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া অঞ্চলের শেরপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ একেএম বানিউল আনাম এ তথ্য জানান।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা নাদের হোসেন, পুলিশ ও স্বজনরা জানান, আয়নাল হক গাইবান্ধা সদরের গিদারী ইউনিয়নের গিদারী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি অসুস্থ স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। সোমবার স্ত্রীর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে তিনি, ছেলে ফিরোজ আলী (৩০), আত্মীয় মকবুল হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান ও অন্যদের নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হন।
পরে অ্যাম্বুলেন্সটি শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘোগা এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয়। বগুড়া ছেড়ে আসা ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আয়নাল হক মারা যান। আহত হন তার ছেলে ফিরোজ আলী, আত্মীয় শিশু মিজানুর রহমান মিজান ও অ্যাম্বুলেন্স চালক পিরোজপুর জেলার কাউখালীর দ্বীন ইসলাম। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে অ্যাম্বুলেন্স চালক দ্বীন ইসলাম মারা যান।
হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া অঞ্চলের শেরপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ একেএম বানিউল আনাম জানান, বাস ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই আয়নাল হক নামে গৃহকর্তা মারা যান। এছাড়া রাতে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স চালকও মারা গেছেন। তবে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় শেরপুর থানায় মামলা হবে বলে জানান ওসি।