সহকারী জজ পদে ১০২ জনকে মনোনীত করে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের ২৮ শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) কমিশনের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
সাবেক ২৮ শিক্ষার্থীর মনোনীত হওয়ার ব্যাপারে জানা গেলেও এখন পর্যন্ত ২২ জনের নাম ও শিক্ষাবর্ষ নিশ্চিত হওয়া গেছে।
২২ শিক্ষার্থী হলেন, ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের (১৯তম ব্যাচ) দিদারুল ইসলাম, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের (২০তম ব্যাচ) মোতাসিম বিল্লাহ, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের (২১তম ব্যাচ) গিয়াস উদ্দিন, আমানত উল্লাহ শাহীন ও ওয়াহিদা নাসরিন, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের (২২তম ব্যাচ) বেলাল মুহাম্মাদ, সাঈদ তাওসিফ মাহদি, ইমরান হোসাইন, আয়েশা আয়মন, আরিফ হোসাইন, সাইমা শরিফ নিশাত ও সানজিদা আমিন।
এছাড়া ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের (২৩তম ব্যাচ) লুৎফুন নাহার, ইমরান হোসাইন ইমন, হুমায়ুন কবির, রকিবুল হাসান শান্ত, কাদের হোসাইন, শাবণী ইতি, ইকু ও ফাহাদ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের (২৪তম ব্যাচ) শহিদুল ইসলাম ও তাসমিনা রিতা।
২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোতাসিম বিল্লাহ বলেন, সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ায় ভালো লাগছে, আলহামদুলিল্লাহ। মা-বাবাসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। ভালো রেজাল্টধারী শিক্ষার্থীরা এখন জুডিসিয়াল সার্ভিসের দিকে মনোযোগী হচ্ছে। একসময় দেখা যেত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার প্রতি বেশি ঝোঁক ছিল। এর বিভিন্ন কারণও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিভাগের পরীক্ষা ও এ ধরনের পরীক্ষাগুলো একই সময়ে পড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, তারা যখন পরীক্ষার রুটিনগুলো করেন তখন শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগুলোর দিকে যদি নজর রাখেন তাহলে শিক্ষার্থীরা আরও ভালো করতে পারবে এবং বিভাগের জন্য আরও বেশি সম্মান বয়ে আনতে পারবে।
চবির আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাজেদা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের সাফল্যে আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। যারা সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন।