নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হাজীপুরে বাবার কোলে তিন বছরের শিশু তাসপিয়া আক্তার জান্নাতকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আরেক আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামির নাম জোবায়ের বিন নিজাম ওরফে পলাশ। তিনি উপজেলার ১৪ নম্বর হাজীপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের মিজানের ছেলে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নোয়াখালীল পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ফুলতলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
এসপি আরো জানান, বেগমগঞ্জ হাজীপুরের আলোচিত তাফসিয়া হত্যা মামলার আসামি মামুন উদ্দিন ওরফে রিমন আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ঐ জবানবন্দিতে প্রকাশিত আসামি জোবায়ের বিন নিজাম ওরফে পলাশ।
গত ৯ এপ্রিল বিকেলে শিশু তাসপিয়া আক্তারকে চিপস-জুস কিনে দিতে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর মালেকার বাপের দোকান এলাকায় যান প্রবাসী আবু জাহের। তিনি তার ভাগনে আবদুল্লা আল-মামুনের দোকানে কথা বলছিলেন। এমন সময় পূর্ববিরোধের জের ধরে রিমন কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে সেখানে হামলা চালান। এ সময় জাহের তার মেয়েকে কোলে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান রিমন। এতে শিশু তাসপিয়ার মাথা ও মুখমণ্ডল গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় এবং তার বাবা আবু জাহেরেরও চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে কুমিল্লায় মারা যায় তাসপিয়া।
এ ঘটনায় তাসপিয়ার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বুধবার বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় মো. রিমনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করছে। এ মামলায় পুলিশ, র্যাব ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এ মামলার প্রধান আসামি রিমন বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউপির লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের মোমিন উল্যাহর ছেলে। শিশু তাসপিয়া হত্যা মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ ও সুবর্ণচরের চরজব্বর থানায় মারামারি, হত্যাচেষ্টা ও অস্ত্র আইনে আরো ৯টি মামলা রয়েছে।