ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ঈদযাত্রা হাত উঁচিয়ে মহাসড়ক পারাপার বাদ যায়নি পুলিশের ভ্যানও
Published : Friday, 29 April, 2022 at 12:00 AM
রণবীর ঘোষ কিংকর ||
দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অধিকাংশ স্টেশন এলাকাগুলোতে ফুটওভার ব্রীজ থাকলেও তা ব্যবহারে পথচারীদের সর্বদাই অনিহা। ফুটওভার ব্রীজ থাকা সত্বেও নিচু বিভাজন অতিক্রম করে মুহুর্তেই মহাসড়ক পারাপার যেন অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে।
ঈদযাত্রার পূর্ব মুহূর্তে মহাসড়কে যানজট নিরসনে পুলিশ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কিন্তু দলবেঁধে হাত উঁচিয়ে মহাসড়ক পারাপার বন্ধে কার্যত কোন ভূমিকা রাখার দৃষ্টান্ত চোখে পড়েনি কারও। এমনকি ঈদের ব্যস্ত মুহূর্তে হাত উঁচিয়ে পুলিশের পিকআপ দাঁড় করিয়ে পথচারীরা মহাসড়ক পারাপার হতে দেখা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশন এলাকায় ফুটওভার ব্রীজের মাত্র ৫০ গজের মধ্যে রয়েছে নিচু বিভাজন। ওই বিভাজনের পাশেই যানবাহন থামিয়ে যাত্রী পরিবহন করায় পথচারীরা ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করছে না। কয়েক সেকেন্ড পরপর দুই পাশ থেকে দলবেঁধে পথচারীরা হাত উঁচিয়ে মহাসড়ক পারাপার হচ্ছে। আর তাতে চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশন এলাকায় যানজট যেন কিছুইতে পিছু ছাড়ছে না। ঈদ মৌসুমে মহাসড়কে যানবাহনের বেশি চাপ থাকায় সৃষ্ট ওই যানজট ক্রমেই  দীর্ঘ হচ্ছে। একই অবস্থা দেখা গেছে ময়নামতি সেনা নিবাস এলাকায়ও।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ছিল অনেক বেশি। চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশনে প্রতিদিনের ন্যায় হাত উঁচিয়ে যাত্রী পারাপার হওয়ায় এক মুহুর্তের জন্যও যানজট মুক্ত হয়নি স্টেশন এলাকাটি। দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশের পিকআপ থামিয়েও মহাসড়ক পারাপার হতে দেখা গেছে।
বাস চালক বিল্লাল হোসেন জানান, আমি চট্টগ্রাম থেকে এসেছি। চান্দিনা উপজেলা গেইট থেকে বাস স্টেশন পর্যন্ত ২শ গজ পথ আসতে ১০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে। এই স্টেশনে কয়েক রকম সমস্যা। একদিকে মহাসড়কের উপরেই মাইক্রোবাস স্টেশন অপরদিকে লোকাল বাসগুলো এলোপাথারী দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানো-নামানো করে। আর সেকেন্ডে সেকেন্ডে মানুষ মহাসড়ক পারাপার হচ্ছে। এই সবগুলো মিলিয়ে যানজট এখানে নিত্য সঙ্গী। এমন কোন দিন নেই যে চান্দিনা আর মদনপুর স্টেশনে যানজট ছাড়া অতিক্রম করতে পেরেছি!
পথচারী সুবল দাস জানান, ৩০ ফুট উচ্চতার ফুটওভার ব্রিজের কাছে ১ ফুট উচ্চতার নিচু বিভাজন থাকলে কেউ কি কষ্ট করে ফুটওভার ব্রিজে উঠে? মানুষ যেদিক দিয়ে সুবিধা পায় সেদিক দিয়েই ছুটবে এটাই স্বাভাবিক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন নিচু বিভাজের অংশটুকু বন্ধ করে দেয় না? তিনি আরও বলেন, দেবীদ্বার সড়কের সামনে থেকে ইউএনও বাস ভবন পর্যন্ত নিচু বিভাজন বন্ধ করে দিলে মানুষ বাধ্য হয়েই ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করতো।
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর),