‘তুমি এসেছিলে পরশু, কাল কেন আসোনি’- এই একটি গান কানে বাজলেই বা মনে পড়লেই চোখে ভেসে উঠে ভিষণ স্মার্ট আর সুদর্শন এক পুরুষের মুখ। তিনি নাঈম। সেই পাতলা পেটা শরীর আর নেই। সিনেমাতেও তিনি আর নিয়মিত নন। একজন পাকা সংসারী এখন তিনি।
তবে কমেনি তার সৌন্দর্যের রোশনাই। কমেনি তার জনপ্রিয়তাও। আজ ঢাকাই সিনেমার সোনালি প্রজন্মের অভিনেতা নাঈমের জন্মদিন। এবারে তিনি ৫২ তম বছরে পা রাখলেন।
জানা যায়, ১৯৭০ সালের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন এই নায়ক। ঘরোয়াভাবে দুই কন্যা ও স্ত্রী অভিনেত্রী শাবনাজকে নিয়ে উত্তরার বাসাতেই কেক কেটে জন্মদিন পালন করেছেন ঢাকার বিখ্যাত নবাববাড়ির এই সন্তান।
জন্মদিন নিয়ে নাঈম বলেন, ‘সুস্থ আছি, বেঁচে আছি এজন্য আলহামদুলিল্লাহ। সবার কাছে দোয়া চাই আমি।’
নাঈম আরও বলেন, ‘জন্মদিনে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি আমার বাবা মা, শ্রদ্ধেয় পরিচালক এহতেশাম, চাঁদনীর প্রযোজকসহ এই সিনেমা সংশ্লিষ্ট সবাইকে। যতোগুলো সিনেমাতে অভিনয় করেছি প্রত্যেক সিনেমার প্রযোজক, পরিচালক, সহশিল্পী'সহ সিনেমার প্রত্যেককে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। আমার ভক্ত দর্শকের প্রতিও ভালোবাসা রইল। তাদের জন্যই আমি সবার পরিচিত ও প্রিয় নাঈম।’
‘আমার স্ত্রী শাবনাজকে ধন্যবাদ আমার জীবনটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়ার জন্য। মহান আল্লাহ আমাকে দুই মেয়ে সন্তান উপহার দিয়েছেন, অশেষ কৃতজ্ঞতা আল্লাহর প্রতি। জীবনের বাকিটা দিন সুস্থ, সুন্দরভাবে কাটিয়ে দিতে চাই’- যোগ করেন এই অভিনেতা।
নবাব বংশের সন্তান নাঈম। তার পুরো নাম খাজা নাঈম মুরাদ। মায়ের সূত্রে টাঙ্গাইল করটিয়া জমিদার বাড়ির সন্তান এই নায়ক।
ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি গান বাজনার প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল নাঈমের। ১৯৯১ সালের ৪ অক্টোবর ‘চাঁদনী’ ছবির মুক্তির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় তার। প্রথম ছবিই সুপারহিট। এতে তার বিপরীতে ছিলেন শাবনাজ। ছবিটির মাধ্যমে নতুন নায়ক-নায়িকা হিসেবে আলোচনার শীর্ষে উঠে আসেন এই জুটি।
এরপর ‘লাভ’, ‘চোখে চোখে’, ‘দিল’, ‘টাকার অহংকার’, ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’, ‘সোনিয়া’, ‘অনুতপ্ত’সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে জুটি বেধে অভিনয় করেন তারা। প্রায় ২০টির মতো ছবিতে এই জুটিকে দেখা গেছে। যার প্রতিটি ছবিই জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল।
অভিনয়ের তিন বছরের মাথায় শাবনাজ ও নাঈম দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা। তাদের ঘরে রয়েছে দুই মেয়ে। বড় মেয়ে নামিরা নাঈম আর ছোট মেয়ে মাহদিয়া নাঈম।