আইপিএলের চলতি আসরে অন্যতম আলোচিত ঘটনা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্বেচ্ছা আউটের সিদ্ধান্ত। গত মাসে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মারকুটে রিয়ান পরাগকে ব্যাটিংয়ে আনার জন্য নিজেকে স্বেচ্ছায় আউট ঘোষণা করে মাঠ ছেড়ে গিয়েছিলেন অশ্বিন।
মাসখানেকের ব্যবধানে সেই একই ভাবনা খেলে গিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির মাথায়। নিজে আউট হয়ে দিনেশ কার্তিককে ব্যাটিংয়ে আনতে চাচ্ছিলেন ডু প্লেসি। যা শেষ দিকে রান বাড়িয়ে নিতে পারে ব্যাঙ্গালুরু।
তবে শেষ পর্যন্ত তাকে স্বেচ্ছায় আউট হতে হয়নি। কারণ অপরপ্রান্তের ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে আর উইকেটে আসেন কার্তিক। যে কারণে স্বেচ্ছায় আউট হতে চেয়েছিলেন ডু প্লেসি, সেটি যে অযৌক্তিক ছিল না তাও প্রমাণ করেছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ১৫৯ রানের মাথায় আউট হন ম্যাক্সওয়েল। সেখান থেকে ২০ ওভারে ১৯২ রানের পাহাড়ে চলে ব্যাঙ্গালুরু। যেখানে ১ চার ও ৪টি ছক্কার মারে মাত্র ৮ বলে ৩০ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন কার্তিক।
হায়দরাবাদকে ৬৭ রানে হারানোর পর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ডু প্লেসি বলেছেন, ‘যদি কার্তিক এভাবেই ছক্কা হাঁকাতে থাকে তাহলে সবাই তাকে বেশিক্ষণ ধরে ব্যাটিংয়ে দেখতে চাইবে। সত্যি কথা বলতে আমি আউট হতে চাচ্ছিলাম। এমনকি স্বেচ্ছায় উঠে যাওয়ার কথাও ভাবছিলাম।’
এ কথা শুনে উপস্থাপকের দায়িত্বে থাকা হার্শা ভোগলে জিজ্ঞেস করেন, ‘মানে কি স্বেচ্ছায় আউট হয়ে?’ উত্তরে ডু প্লেসি বলেন, ‘হ্যাঁ স্বেচ্ছা আউট হয়ে। তবে এরপর আমরা একটি উইকেট হারালাম। কার্তিক দারুণ ফর্মে কিন্তু এ উইকেট মোটেও সহজ ছিল না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এ উইকেট খুব ট্রিকি ছিল। এখানে শুরু থেকেই মারা সহজ ছিল না। এটা হয়তো কার্তিকের বেলায় হয়নি তবে অন্যরা প্রথম কিছু বল ভুগেছে। কার্তিকের একটা ক্যাচ ছাড়লো তারা। এরপরই সে মারমুখী ফিনিশিং দিলো।’