শিরোপা জেতায় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ম্যাচটা ছিল আনুষ্ঠানিকতার। হোক না মাদ্রিদ ডার্বি। কিন্তু নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ম্যাচটা ছিল বাঁচা-মরার। সেই লড়াইয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নেওয়ার প্রায় কাছাকাছি চলে গেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
লা লিগায় ম্যাচটা নিয়ে আলোচনা ছিল বেশ ক’দিন ধরেই। রিয়াল মাদ্রিদ শিরোপা জেতায় অ্যাতলেতিকো তাদের গার্ড অব অনার দেবে কিনা সেটাই ছিল মূল আলোচ্যের। কিন্তু ম্যাচের আগে সিমিওনের দল জানিয়ে দেয় তারা সেটি করছে না। তাছাড়া রিয়ালও এদিন ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল। যার ফলে ১-০ গোলে হার দেখতে হয়েছে তাদের।
চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে নাটকীয় জয়ের পর সাত পরিবর্তন আনেন আনচেলত্তি। শুরুর একাদশে ছিলেন না করিম বেনজিমা, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, থিবো কুর্তোয়া, লুকা মদ্রিচরা। তাতে দারুণ সূচনার রসদ পেয়ে যায় অ্যাতলেতিকো। ৪০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রাপ্ত গোলটি পরে হয়ে যায় জয় নির্ধারক। বিপজ্জনক অঞ্চলে কুনহা ফাউলের শিকার হলে স্পট কিক পায় স্বাগতিক দল। গোলটি করেন ইয়ানিক কারাসকো।
ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ ছিল অ্যাতলেতিকোর। ৬০ মিনিটে সবচেয়ে সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করে তারা। সতীর্থের কাছ থেকে গোলমুখে বল পেয়েও তা লক্ষ্যের ওপর দিয়ে মারেন কারাসকো। দ্বিতীয়ার্ধে আন্তোয়ান গ্রিজমানের দুর্দান্ত চেষ্টায় তৈরি হওয়া গোলের সুযোগও নষ্ট করেন কুনহা। বল মারেন গোলরক্ষক বরাবর।
রিয়াল মাদ্রিদের খেলায় কিছুটা ছন্দ ফেরে যখন ভিনিসিয়ুসকে নামানো হয় মাঠে। রিয়াল মাদ্রিদ তার পরেও ব্যবধানে পরিবর্তন আনতে পারেনি। বদলি খেলোয়াড় ভালভার্দে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ গোলকিপার ওব্লাককে দুবার পরীক্ষায় ফেললেও ফল আসেনি তাতে। এই জয়ের পর ৩৫ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে রয়েছে অ্যাতলেতিকো।