ফিলিপাইনে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সোমবার (৯ মে)। নতুন নেতা বেছে নিতে এরই মধ্যে ভোট দেওয়া শুরু করেছেন দেশটির নাগরিকরা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৬টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। এর আগে লাখ লাখ মানুষ কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন তাদের পছন্দের নেতাকে বেছে নিতে। এবার রেকর্ড পরিমাণে ৬ কোটি ৭০ লাখ ভোটার তাদের পছন্দের প্রেসিডেন্টকে বেছে নেবেন।
সোমবারের ভোটে বিজয়ী প্রার্থী আগামী ছয় বছর দেশ পরিচালনা করবেন।
এই নির্বাচনে দেশটির প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ১২ সিনেটর, নিম্নকক্ষের ৩০০ জন বিধায়ক এবং ১৮ হাজার কর্মকর্তা, মেয়র, গভর্নর এবং তাদের ডেপুটিসহ দ্বীপজুড়ে ৭ হাজার ছয়শ জন নির্বাচিত হবেন।
প্রত্যেক ভোটারকে অবশ্যই প্রতিটি পদের জন্য একজন প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে, প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিনেটর থেকে শুরু করে তাদের স্থানীয় জেলা কাউন্সিলরদের পর্যন্ত। প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিনেটর ছাড়া বাকীরা তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন।
এ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে ৩৬ বছর আগে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো মার্কোস পরিবারের আবার দেশটির শাসন ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফিলিপাইনের সাবেক একনায়ক ফের্দিনান্দ মার্কোস ও তার স্ত্রী সাবেক ফার্স্ট লেডি ইমেলদা মার্কোসের ছেলে ৬৪ বছর বয়সী ফের্দিনান্দ ‘বংবং’ মার্কোস জুনিয়র এ নির্বাচনে জিতবেন বলে বিভিন্ন জরিপ থেকে উঠে এসেছে।
তবে ভোটের মাঠে মার্কোস জুনিয়রের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন লেনি রেব্রেদো। ২০১৬ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্কোস জুনিয়রকে হারান তিনি।
সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা