কুড়িগ্রামে মুদি দোকানিকে হত্যা মামলায় দীর্ঘ দেড় যুগ (১৮ বছর) পর ৪ আপন ভাইসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জন আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নান এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আপন চার ভাই রাশেদ মিয়া, মকবুল হোসেন, তছলিম উদ্দিন, মোছলেম উদ্দিন। একই গ্রামের আব্দুল কাদের, মিন্টু মিয়া, মোনাল উদ্দিন ও নুরু মিয়া। আরেক আসামি চাঁন মিয়া আগেই মারা গেছেন।
আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন জানান, ২০০৩ সালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে নুরনবী মিয়া ও সড়কটারী গ্রামের খেতু শেখের ছেলে মোছলেম উদ্দিনের মধ্যে গম খেতে পানি দেওয়া নিয়ে বিরোধ হয়। এক পর্যায়ে নুরনবী মিয়াকে মেরে ফেলার হুমকি দেন মোছলেম উদ্দিন। পরে সালিশে মোছলেম উদ্দিন ও তার ছোট ভাই রাশেদকে দোষী সাব্যস্ত করে মীমাংসা করে দেওয়া হয়। এরপর নুরনবী ও রাশেদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। সেই সুবাদে রাশেদ প্রায়ই নুরনবীর দোকানে রাত কাটাতে শুরু করেন।
তিনি আরো জানান, ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাতে রাশেদ ও নুরনবী দোকানে রাতযাপন করেন। পরদিন সকালে দোকানের ভেতর থেকে নুরনবীর গলায় মাফলার পেঁচানো লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা। ঐ ঘটনায় নুরনবীর বাবা মোখলেছুর রহমান চিলমারী থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ ১৮ বছরের বিচার কার্যক্রমে ৪৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।