কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ৬ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনের মনোনয়ন পত্রই বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন সাধারণ ওয়ার্ডের ৯ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের একজন প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কুসিক নির্বাচনে প্রার্থীদের অমনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই শুরু হয়। নগরীর মোগলটুলী এলাকায় অবস্থিত জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ কার্যক্রম চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
গত ১৭ মে মনোনয়নপ্র জমা দেয়ার শেষ দিনে মোট ১৬৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৬ জন মেয়র প্রার্থী, ১২০ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৩৮ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর।
এর মধ্যে যাচাই বাছাইয়ে ৯ জন সাধারণ এবং একজন সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। বাছাই শেষে কুসিক নির্বাচনে মোট প্রার্থী দাঁড়ালো ১৫৪ জনে। এর মধ্যে ৬ জন মেয়র প্রার্থী, ১১১ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৩৭ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী।
যাচাই বাছাই শেষে মেয়র পদে মনোনয়নপত্রে বৈধতা পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত, স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগ) মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, স্বতন্ত্র (বিএনপি) মনিরুল হক সাক্কু , স্বতন্ত্র (বিএনপি) মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার, ইসলামী আন্দোলনের মোঃ রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল। ।
তবে দিনের শুরুতে ইমরানের মনোনয়ন পত্রের বৈধতা নিয়ে কিছুটা নাটকীয়তা দেখা দেয়। এসময় তার মনোনয়ন যাচাই কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। পরে বিকাল ৩ টায় পুন: যাচাই শেষে ইমরান খানের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের নিকট সঠিক সময়ে আবেদন করতে হবে। সময়ের বাইরে কেউ আপিল করলে লাভ হবে না।