চলতি বছরে জনপ্রতি হজের খরচ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল। তিনি বলেন, দুটি প্যাকেজের সঙ্গে আরো ৫৯ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। সেই বাড়তি টাকা আগামী ৩০ মে’র মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ এর অধীনে জনপ্রতি ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা ধরা হয়েছিল। প্যাকেজ-২ এর অধীনে ধরা হয় জনপ্রতি ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ দুটি প্যাকেজের সঙ্গে বাড়তি ৫৯ হাজার টাকা যোগ হবে।
এছাড়া, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকার সঙ্গে ৫৯ হাজার টাকা যোগ হয়ে মোট ৫ লাখ ১২ হাজার ৭৪৪ টাকা খরচ হবে।
টাকা গ্রহণের জন্য সরকার ২৮, ২৯ ও ৩০ মে সময় নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে আগামী শনিবার দেশব্যাপী তফসিলি ব্যাংকসমূহ খোলা রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
হজযাত্রীরা পে-অর্ডারের মাধ্যমে উক্ত টাকা সচিব, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখা, মতিঝিল, ঢাকার ০০০২৬৩৩০০০৯০৮ নম্বরে পরিচালক, হজ অফিস, ঢাকা বরাবর ৩০ মে, ২০২২ এর মধ্যে জমা দেবেন। এজন্য হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকায় বিশেষ বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা সমপরিমাণ অর্থ নিজ নিজ এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে জমা দেবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্যাকেজ ঘোষণার পর রাজকীয় সৌদি সরকার থেকে অতিরিক্ত কোনো চার্জ আরোপ করা হলে তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং হজযাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে। কোনো অর্থ অব্যয়িত থাকলে তা হাজিদের ফেরত দেওয়া হবে’- এ শর্তে ১১ মে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারির কারণে রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক হজের ঘোষণার বিলম্বের জন্য এবং সৌদি আরব থেকে প্রকৃত খরচের বিবরণী না পাওয়ায় সম্ভাব্য ব্যয় বিবেচনা করে প্রভিশনাল হজ প্যাকেজ প্রস্তুত করা হয়েছিল। গত ২৫ মে সৌদি কর্তৃপক্ষ মিনায় অবস্থান স্থলের ভিত্তিতে ৪ ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে ৪ ধাপের ব্যয়ের বিবরণ নির্ধারণ করেছে। এরমধ্যে সর্বনিম্ন ব্যয়ের ধাপ ‘ডি’ ও ‘সি’ প্রকাশ করেছে। উক্ত তথ্য অনুযায়ী মোয়াল্লেম ফি ‘সি’ অনুসারে ৮ হাজার ৬৪০ সৌদি রিয়াল এবং ‘ডি’ অনুসারে ৭ হাজার ৪৯০ সৌদি রিয়াল ধার্য করা হয়েছে। উক্ত তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে মোয়াল্লেম ফি ‘সি’ অনুসারে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৭ টাকা ও মোয়াল্লেম ফি ‘ডি’ অনুসারে ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা বৃদ্ধি পায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নতমানের বাস সার্ভিস, ট্রেন ভাড়া ও বাড়ি ভাড়া থেকে উভয় প্যাকেজে কিছু অর্থ সাশ্রয় করা গেছে। উক্ত সাশ্রয় এবং বাংলাদেশের হজযাত্রীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও হজযাত্রীদের প্রতি বর্তমান সরকারের সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে আমরা উভয় প্যাকেজে সৌদি আরবে আবশ্যকীয় ব্যয় ৫৯ হাজার টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এ লক্ষ্যে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ ব্যয় বৃদ্ধি অনুমোদন হয়েছে।
ফরিদুল হক খান বলেন, আগামী ৫ জুন থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হয়ে শেষ হবে ৩ জুলাই। আর ফিরতি ফ্লাইট ১৪ জুলাই শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ আগস্ট।