স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, ‘কোনো পেশাকেই ছোট হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজ করেছেন, রুটির দোকানে কাজ করেছেন। কিন্তু সেখান থেকে উঠে এসেই তিনি তার চিন্তা-চেতনা ও লেখনির মাধ্যমে আমাদের জাতীয় কবি হয়েছেন। কবি নজরুলের জীবনী আমাদের জন্য একটা শিক্ষা। জীবনে বড় হতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, ন্যায়ের পথে থাকতে হবে। ’
শুক্রবার (২৭ মে) জাতীয় পর্যায়ে কুমিল্লায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩ তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানের সামপনী দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর লেখনীর মাধ্যমে আমাদের বুঝাতে চেয়েছেন, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নেই। আমাদের উচিৎ সে সমস্ত উপলব্ধিগুলো পড়ে কাজে লাগানো। ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের অধিকার হরণের যে চেষ্টা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে; সেটাকে নজরুল তার কবিতায় তুলে ধরেছেন। কবি নজরুলের গান-কবিতা কিংবা সকল রচনার কথা যদি বলি, সবকিছুতেই লিপিবদ্ধ আছে ‘মানুষের জন্য মানুষ।’ মানুষকে তার অধিকার বঞ্চিত রাখা যাবে না।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এই কুমিল্লা কবি নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত কুমিল্লা। সামাজিক-সাংস্কৃতিক দিক থেকে কুমিল্লা সবসময়-ই এগিয়ে ছিলো। সভ্যতা-নম্রতা-ভদ্রতা সব দিক থেকেই এগিয়েছিলো। আমি বিশ্বাস করি শুধুমাত্র অট্রালিকা কিংবা জৌলুসে নয়Ñ সবদিকে এগিয়ে থেকেই কুমিল্লা গৌরবান্বিত হবে। একসময় যখন এই কুমিল্লায় বড় বড় অট্রালিকা ছিলো না; তখনো কিন্তু কুমিল্লার গৌরব ম্লান হয়ে যায়নি। সবসময়ই কুমিল্লা একটি মর্যাদাপূর্ণ স্থান টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিলো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যারা কুমিল্লাকে ভালোবাসি, তাদের উচিৎ কুমিল্লার মধ্যে সৃজনশীলতা ফিরিয়ে আনা। আর এ দায়িত্বটা পালন করতে হবে যারা নেতৃত্বে আছেন তাদেরকে। নেতৃত্বের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। নেতা ভালো হলে তাঁর অনুসারীরা ভালো হয়। কারণ ফলোয়ারেরা সবসময় লিডারকে অনুসরণ করে।’