ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ব্রাহ্মণপাড়ায় শিক্ষকের বেত্রাঘাত এক শিক্ষার্থী অসুস্থ
Published : Sunday, 12 June, 2022 at 12:00 AM
ইসমাইল নয়ন।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়াতে শিক্ষকের বেতাঘাতে সিয়াম নামের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আহত হওয়া খবর পাওয়া গেছে।  গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নাগাইশ মডার্ন স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মতিউর রহমান সবুজ। তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে দশম শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার আগে সিয়ামসহ তাদের সহপাঠীরা সবাই মিলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়ে প্রধান শিক্ষকের রুমে যায়। সবার পক্ষ হয়ে সিয়াম প্রধান শিক্ষকের নিকট স্কুলে নিয়মিত ক্লাস ও লেখা পড়া হয়না বলে বিষয়টি অবগত করেন। প্রধান শিক্ষক এতে ক্ষিপ্ত হয়। শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন গালমন্দ এবং তুই তংকর করেও কথা বলেছেন বলে অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে ওই শিক্ষক দশম শ্রেণির ক্লাস নিতে যায়। আগের বিষয়ের উপর জের ধরে বেত্রাঘাত করেন সিয়ামসহ আরও কয়েকজনকে। এতে সিয়াস আহত হয়। পরে ক্লাস শেষ করে সিয়াম বাড়িতে যায়। এই দিন রাতেই সিয়াম অসুস্থ হয় এবং সিয়ামের পরিবার প্রাথমিক চিকিৎসা করান।  আহত সিয়ামের মা বলেন, যেদিন সিয়ামকে স্যার মারলেন সেদিন স্যার অন্য শিক্ষক দিয়ে আমাকে স্কুলে ডাকান। আমি স্কুলে আসি। তখন দেখি আমার ছেলে কান্না করে। পরে জানতে পারলাম স্যার আমার ছেলেকে বেদম মেরেছে।  আমাকে সিয়ামকে নিয়ে চলে যেতে বলেন। পরে আমি স্যারের রুম থেকে চলে আসি। পরে আমি স্কুলের একটি রুমে নিয়ে তার শার্ট খোলে দেখি তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন। পরে আমি স্যারকে কিছু না বলে বাড়িতে চলে আসি।  আমাদেরকে অনেক রকমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্য স্কুল থেকে এনে নাগাইশ মডার্ন স্কুলে ভর্তি করান। দু'দিন পর পর শিক্ষক থাকে না। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় সমস্যা হয় এটা বলাতে কি স্যার এভাবে মারতে পারে। আমি অনেক কষ্ট করে আমার সন্তানদেরকে লালনপালন করছি আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের বেশ কিছু শিক্ষার্থী  জানায়, এ স্কুলে এটা নতুন ঘটনা না। আরো বেশ কয়েকবার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটেছে। স্কুলথেকে বের করে দেওয়ার ভয়ে তারা মুখ খোলেনি এবং এ ধরনের নির্মম ঘটনার বিচার দাবি করে। সিয়ামের বড় ভাই সানাউল হক বলেন, শিক্ষক শিক্ষার্থীকে মারতে পারে সমস্যা নাই। আমি আমার ভাইয়ের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। তারা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অন্য স্কুল থেকে আমার ভাইকে ভর্তি করিয়েছে। দুইদিন পর পর শিক্ষক চলে যায়, এবং নিয়মিত লেখাপড়া হয় না। এটা বলা কি আমার ভাইয়ের অপরাদ। যে বিষয়টা নিয়ে মারছেন এটা স্যারের ঠিক হয়নি।  কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কেউ দেখা তো দূরের কথা আমার ভাইয়ের একবারের জন্য ও খবর নেই।  এটা তীব্র নিন্দা জানাই এবং এটার বিচার চাই। অভিযুক্ত  প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান এবিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমি তাকে বেতাঘাত করেছি ঘটনা সঠিক, তবে এ বিষয় নিয়ে সামাজিক ভাবে শেষ করার চেষ্টা করছি।