Published : Tuesday, 14 June, 2022 at 12:00 AM, Update: 14.06.2022 2:09:12 AM
বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর॥
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ধাতীশ্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আদালত থেকে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ ধারা জারি করা ভূমিতে সীমানা প্রাচীরের নির্মাণ কাজ করছে স্থানীয় একজন ঠিকাদার।
মামলার নথি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাঙ্গলকোট উপজেলায় ধাতীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপনে ওই গ্রামের আহমেদ উল্লাহ ২৩ শতক ভূমি দান করেন। বিদ্যালয়ের পাশের ৬৫ নং খতিয়ানভুক্ত ৭৮৪ দাগে ১৩ শতক ভূমি আহমেদ উল্লাহর ওয়ারিশদের দখলে রয়েছে। এই ১৩ শতক জমির মধ্যে ৩ শতক জমি দখলে নিয়ে সীমানা বিদ্যালয়ের প্রাচীর নির্মান করিতেছে একটি প্রভাবশালী মহল ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে আহমেদ উল্লাহর ওয়ারিশদের পক্ষে নির্মাণ কাজ বন্ধে বাধা প্রদান করেন মৃত ফিরোজ আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ ফয়েজ আহমেদ। বাধা উপেক্ষা করেও নির্মাণ কাজ করতে থাকায় আইনি প্রতিকার পেতে আদালতের ধারস্থ হন তিনি। আদালত উল্লেখিত ভূমিতে কোন ধরনের নির্মাণ কাজ বা কোন প্রকার কর্মকাণ্ড পরিচালনা না করতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ ধারা জারি করে উভয়পক্ষকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ প্রদান করে। একই সঙ্গে নাঙ্গলকোট থানার ওসিকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্যও নির্দেশ প্রদান করা হয়।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কেন নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে প্রশ্নের জবাবে ধাতীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, বিদ্যালয়টি স্থাপনে আহমেদ উল্লাহ জমিদান করেছিলেন। গত বছর বিদ্যালয়টি বর্ধিত করনে একটি ভবন বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিল আমরা জমিদাতা আহমেদ উল্লার ওয়ারিশদের সাথে পরামর্শ করে ওই ভবন নির্মান করেছিলাম। বর্তমানে সরকারি ভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বরাদ্দ আসায় একই ভাবে আহমেদ উল্লাহর ওয়ারিশদের সাথে পরামর্শ করে প্রাচীর নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে ধাতীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই প্রতিষ্ঠানের সার্থরক্ষায় আমরা বদ্ধ পরিকর। সরকারি বিধি মেনে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা ভূমিতে কোনো ধরনের কাজ করা হচ্ছে না।
জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মিনজাহ উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের নিদিষ্ট ভূমির বাহিরে কোনো ধরনের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের প্রাচীর নির্মাণ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ ফয়েজ আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এ নির্মাণ কাজ করেছে। পরবর্তীতে ১১ জুন আমি সাংবাদিকসহ সরজমিনে তা দেখে আসি এবং কাজ বন্ধ করার জন্য বলি। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আমার সাথে যোগাযোগ করেননি।