ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লা নির্বাচনে বাড়ছে অপরাধী প্রার্থী: সুজন
Published : Tuesday, 14 June, 2022 at 12:00 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক : কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অতীতের নির্বাচন ও আগামী নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের ওপর জরিপ চালিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। জরিপে— শিক্ষিত, অপরাধের সঙ্গে জড়িত ও মামলা আছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সুজন।
সোমবার (১৩ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন সুজনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৩৬ জনসহ মোট ১৪৭ জন প্রার্থীর সাত ধরনের তথ্য উপস্থাপন করে সুজন। এর মধ্যে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগত্যা, পেশা সংক্রান্ত, মামলা সংক্রান্ত তথ্য, প্রার্থী ও নির্ভরশীলদের বাৎসরিক আয়, সম্পদের তথ্য, বাৎসরিক গড় সম্পদ, দায়-দেনা ও ঋণ সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করা হয়।
পাঁচজন মেয়রপ্রার্থীর মধ্যে একজন স্নাতকোত্তর, দুজন স্নাতক, একজন এইচএসসি ও একজন এসএসসি পাস। ১০৫ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জন এসএসসির (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট) নিচে, ১৫ জন এসএসসি, ২৩ জন এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট), স্নাতক ২৭ জন ও একজন স্নাতকোত্তর পাস। এছাড়া কয়েকজন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘর পূরণ করেননি।
অন্যদিকে, ৩৬ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩৪ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে এসএসসির নিচে নয়জন, সাতজন এসএসসি, সাতজন এইচএসসি, স্নাতক ছয়জন ও তিনজন স্নাতকোত্তর পাস। বাকি দুজন শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘর পূরণ করেননি।
বিশ্লেষণে অন্য নির্বাচনের মতো কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বেশি। তবে বিগত নির্বাচনের তুলনায় এ হার কমে ৬৭ শতাংশ থেকে ৫৯ শতাংশ হয়েছে।
মামলা ও অপরাধ সংক্রান্ত তথ্যে বলা হয়েছে, পাঁচজন মেয়রপ্রার্থীর মধ্যে চারজনের ফৌজদারি মামলা সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, ১০৫ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে বর্তমানে মামলা আছে ৩১ জনের। অতীতে মামলা ছিল ৩৫ জনের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ৩০২ ধারায় মামলা আছে ৫ জনের বিরুদ্ধে, অতীতে ছিল ৪ জনের বিরুদ্ধে। ৩৪ জন সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীর মধ্যে মাত্র একজনের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে এবং একজনের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল।
সুজন বলছে, আগের নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, অতীত-বর্তমান এমনকি উভয় সময়ে মামলা-সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর হার বেড়েছে। তার অর্থ এ দাড়ায় যে, অপরাধ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে।