ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ফেনীর মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত
Published : Tuesday, 21 June, 2022 at 12:00 AM
টানা বর্ষণ এবং আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে ফেনীর ফুলগাজীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে দশ গ্রামে পানি ঢুকেছে। পানি আরও বাড়ার শঙ্কার কথা জানিয়ে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পানি কমলে তবেই বাঁধের স্থায়ী মেরামত সম্ভব।
ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সেলিম জানান, পাহাড়ি ঢল ও উজানের পানির চাপে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেড়িবাঁধের ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বরইয়া রতন মেম্বারের বাড়ির কছে, সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর সেকান্তর মাস্টার বাড়ি সংলগ্ন অংশ এবং একই ইউনিয়নের দেড়পাড়ার অংশ হঠাৎ ভেঙে যায়। এতে ফুলগাজী বাজারের প্রধান সড়ক দুই ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এ ছাড়া সদর ইউনিয়নের দেড়পাড়া, নিলক্ষী, উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর ও বৈরাগপুর, দরবারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বরইয়া ও বসন্তপুরসহ অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর জানান ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম।
ফুলগাজীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফুন নাহার জানান, বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢোকায় পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এ ছাড়া রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ক্ষেতের ফসলও ডুবে আছে।
দশ গ্রামে পানিবন্দি মানুষদের জন্য ত্রাণ বরাদ্দের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
ঢলের পানিতে মুহুরী নদীর পানি দুপুরে বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আকতার হোসেন বলেন, “দরবারপুরের ভাঙনটি মেরামত করার জন্য স্থানীয়দের নিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে।”
আর পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, “বাঁধ ভাঙার খবর শুনে আমাদের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি মনিটর করছে।”
দুপুর থেকে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, “পানি আরও বাড়তে পারে। পানি কমলে বাঁধের ভেঙে যাওয়া স্থানগুলোর মেরামত করা হবে।”
বাজারের গার্ডওয়ালের ভেতর দিয়ে মুহুরী নদীর পানি ঢুকেছে, ফলে দোকানপাট রেহাই পায়নি।
ফুলগাজী বাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রউপ জানান, অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে।
গত কয়েক বছর ধরে বর্ষায় ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানিতে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ১০/১২টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর আসে।