‘এটি স্মরণকালের বড় বন্যা’
Published : Tuesday, 21 June, 2022 at 12:00 AM
সিলেট-সুনামগঞ্জের চলমান বন্যাকে স্মরণকালের বড় বন্যা বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। ১৯৮৮ সালের বন্যাসহ পরবর্তী বন্যাগুলোর তথ্য তুলে ধরে তিনি এ মন্তব্য করেন। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মুহিবুব রহমান সেখানকার বন্যা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। এর আগে বন্য নিয়ে বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদের পয়েন্ট অব অর্ডারের বক্তব্যেরও জবাব দেন।
মানিক বলেন, বিএনপি দলীয় এমপি আজকে বন্যা নিয়ে মানবতা দেখানোর চেষ্টা করলেও তাদের দল বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে ১৯৯৫ ও ২০০৪ সালের বন্যায় বন্যাকবলিত মানুষর পাশে দাঁড়ায়নি। ১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে বন্যায় আমরা ৬১ কেজি ওজনের কেক কাটতে দেখেছি।
১২২ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা—এই তথ্যটি ঠিক নয় উল্লেখ করে মুহিবুর রহমান বলেন, বড় বন্যা হয়েছে। চেরাপুঞ্জিতে ১২২ বছরের ইতিহাসে একদিনে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। ১২২ বছরের ইতিহাসে এত বড় বন্যা হয়নি সেটা বলবো না। তবে আমি ১৯৮৮, ১৯৯৫, ১৯৯৮, ২০০৪ ও ২০১৭ সালের বন্যা আমি দেখেছি। মনে করি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ বন্যা। সবচেয়ে বেশি মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্যার শুরু থেকেই আমি এলাকায় ছিলাম। আমার নির্বাচনি এলাকা সব থেকে বেশি বন্যাপ্লাবিত।
বন্যায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে সরকার দলীয় এই এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে বন্যাকবলিতদের উদ্ধার ও তাদের আশ্রয় ও খাদ্য দেওয়ার জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছেন। তারা সাধ্য অনুযায়ী কাজ করছে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে আমরা জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছি।
কয়েক বছর পর পরই আমরা বন্যার সম্মুখীন হই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সেভাবে তৈরি করতে হবে। সুরমা কুশিয়ারা ও মেঘনার উৎসস্থল খননের প্রয়োজন। হাওর জলাশয় ভরাট হয়ে গেছে। খালগুলো থেকে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। এগুলো করা সম্ভব হলে এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে পারবো।