গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সে. মি নিচে। গতকাল রাতের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। তবে পানির উচ্চতা ওঠানামা করছে বলে জানিয়েছেন পাউবো কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান। তিনি জানান, সমতল কোথাও প্লাবিত হয় নি। তবে যারা নদীর চরে বসবাস করে, তাদের বাড়িঘরে স্থাপনায় পানি ঢুকছে। এখনো আতংক ছড়ানোর কিছু নেই। জানা গেছে, গতকাল রাতে নদীর পানি বিপৎসীমার খুব কাছকাছি থাকলেও, আজ সকালে তা নেমে আসে। যা কিছুটা স্বস্তির কারন। তবে গতকাল রাতে সদর উপজেলা ও বুড়িচং উপজেলার অন্তত ২০ জায়গা দিয়ে গোমতীর বাঁধ চুইয়ে পানি প্রবেশ চিহ্নিত করে পাউবো এবং স্থানীয় প্রশাসন। পরে সেগুলোতে তাৎক্ষণিক ভাবে বালুর বস্তা ও মাটি ফেলে মেরামত করা হয়। রাতেই গোমতীর বাঁধ পরিদর্শনে যান জেলাপ্রশাসক ও পুলিশ সুপার। সেখানে তারা স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সতর্কথাকার আহ্বান জানান।
এদিকে গোমতীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ গঙ্গামন্ডল, রঘুরামপুর, দেবিদ্বার পুরাতন বাজার এলাকার গোমতীর চরের বাড়ি ঘরে পানি ঢুকছে। সে সব বাড়ি ঘর থেকে সরে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। জানা গেছে,দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুরামপুর ও গঙ্গানগর এলাকার প্রায় ৪০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। পানিবন্দি বাসিন্দাদের জাফরগঞ্জ মীর আবদুল গফুর কলেজের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, গোমতীকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আশা করি পানি না বাড়লে কোন সমস্যা হবে না। বাঁধ সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় জিও ব্যাগ প্রস্তুত আছে। আর যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে সেসব এলাকায় খবর নিয়ে কি কি সহযোগিতা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আতংকিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।