ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেবীদ্বারে গোমতী নদীর ঢলে ৮৬ হেক্টর ফসল নস্ট
Published : Thursday, 23 June, 2022 at 12:00 AM
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ
গোমতীর তান্ডবে কুমিল্লার দেবীদ্বারে প্রায় ৮৬ হেক্টর ফলল নষ্ট হয়েছে, নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বসতঘর। ভাঙ্গন আতংকে অনেক পরিবার বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে গোমতী নদীর পানি বেড়ে প্রায় একহাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে বুধবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার জাফরগঞ্জ ঋষি পাড়ার রাখাল চন্দ্র ঋষির একটি বসত ঘর গোমতী নদীতে বিলীন হয়েগেছে। তার রান্না ঘরটিও বিলীন হওয়ার পথে, শেষ সম্ভল রান্না ঘরটি বাঁচাতে রশি দিয়ে অন্য একটি ঘরের সাথে বেঁেধ রাখা হয়েছে। নদীর পানির স্রোতে একই বাড়ির জীবন চন্দ্র ঋষির ১টি ঘরের অর্ধেক ভিটি ধ্বসে গেছে। শীপন চন্দ্র ঋষি, প্রভু চন্দ্র ঋষি, নারায়ন চন্দ্র ঋষি ও ঠাকুর দাসের ১টি করে ঘর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব বাড়ির লোকজন বাড়ি ভাঙ্গন আতংকে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
এছাড়াও পৌর এলাকার দেবীদ্বার পুরান বাজার, বড় আলমপুর, বিনাইপাড়, ভিংলাবাড়ি, জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুরামপুর, গঙ্গানগর, সুবিল ইউনিয়নের শিবনগর, মাছুয়াবাদ, ফতেহাবাদ ইউনিয়নের খলিলপুর, লক্ষীপুর, চাঁনপুর, কালিকাপুর ও বিষ্ণপুর গ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় গ্রাম গুলিতে প্রবেশের সড়কসহ আশ-পাশের এলাকা ডুবে গেছে। অনেকের ভিটায় পানি উঠে যাওয়ায় ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। এসব এলাকার প্রায় সহস্রাধিক পরিবার পানি বন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। গোমতী বাঁধের ভিতরে আটকে পড়া এসব এলাকার মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে ৪টি টিমের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন শুকনো খাবার ও পানি বিতরণ করছে।  
এদিকে গোমতী চরের জমিতে পানি উঠে যাওয়ায় ধানি জমিসহ শাক-সব্জি ও পাট-ধনচের জমির ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে প্রায় ৮৬ হেক্টর ফলল নষ্ট হয়ে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আব্দুর রউফ।
পানি উন্নয়ন বোডের্র উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সেলিম মিয়া বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় জানান, গোমতী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আজ সারা দিনে ৬ থেকে ১০ সেমি. পানি কমেছে। পানির চাপ কম হওয়ায় বাঁধ ভাঙ্গার সম্ভাবনা আর নাই।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিক উন নবী তালুকদার জানান, পানি বন্দী এলাকার মানুষদের প্রয়োজনে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া যাদের বাড়ি ঘর ক্ষতি হয়েছে তাদের তালিকা দ্রুত মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে। ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে পানি বন্দী পরিবারের তালিকা পেলেই আমরা দ্রুত মন্ত্রনালয়ে বরাদ্ধ চাইবো। আমাদের কাছে বর্তমানে ত্রান সহযোগিতা অপ্রতুল।