কুবির আইন বিভাগে 'তপন বিহারী নাগ' ট্রাস্টের বৃত্তি প্রদান
Published : Friday, 24 June, 2022 at 12:00 AM
সাঈদ হাসান, কুবি ||
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আইন বিভাগের প্রথম ব্যাচের বিদায় ও তপন বিহারী নাগ ট্রাস্টের বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠান- ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিজ্ঞান অনুষদের হল রুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ট্রাস্টের অধীনে ১০ জন শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি প্রদান ও বিভাগের পক্ষ থেকে ৫ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান, আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শামিমুল ইসলাম, ট্রাস্টি এডভোকেট তপন বিহারী নাগ (জি.পি) ও শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ আইন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা চীফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী জাজ কেশব রায় চৌধুরীসহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে ট্রাস্টি তপন বিহারী নাগ বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দেশের অনেক বড় জায়গায় যাবেন, সরকারি দপ্তরে যাবেন। আপনাদের কাছে অনুরোধ অন্তত ৫ বছর দেশের জন্য সেক্রিফাইস করবেন। দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন।
এসময় কেশব রায় চৌধুরী বলেন, অনেক গুলো গুণের সমন্বয়ে হয় একজন এডভোকেট। এরমধ্যে যোগ্যরা জজ। আর বেশি যোগ্যরা হয় এডভোকেট।কারণ এডভোকেটদের অনেক বেশি পড়তে হয়।
বাংলাদেশের সবথেকে দক্ষ সিভিল 'ল' ইয়াররা হলেন কুমিল্লার। তোমরা এখানকার স্টুডেন্ট। তাই তোমাদের সবথেকে বেশি ভালো করার সুযোগ রয়েছে। আর আমার বিশ্বাস তোমরা তপন বিহারী নাগের এই বৃত্তিটাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজে লাগাবে।
এসময় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ট্রাস্টি তপন বিহারী নাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ট্রাস্টিরা একটি প্রত্যাশা নিয়ে তোমাদের কাছে আসে। আমি আসাকরি তোমরা সেই প্রত্যাশা অনুযায়ী কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবে।
এছাড়াও উপাচার্য সাধারণ শিক্ষার্থী এবং গ্রাজুয়েটদের সুনাগরিক হওয়ার আহবান জানান। পাশাপাশি , টিচিং, লার্নিং এবং কমিউনিটি এংগেজমেন্টের প্রতি জোর দিতে বলেন। এসময় তিনি ৬ লক্ষ টাকা ফান্ডের আরেকটি নতুন স্কলারশিপের কথাও জানান।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৬ অক্টোবর তপন বিহারী নাগের ট্রাস্টির সাথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। যার অধীনে প্রতি বছর অনার্স (সম্মান/এলএলবি) রেজাল্টের ভিত্তিতে প্রথম দশজন শিক্ষার্থীকে এককালীন মেধা বৃত্তি প্রদান করা হবে।