কোরবানির
জন্য দেশে ৯৭ লাখ পশুর চাহিদার বিপরীতে এক কোটি ২১ লাখ প্রাণী রয়েছে
জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, এ কারণে এবার
কোরবানির পশুর কোনো সঙ্কট হবে না।
বৃহস্পতিবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের
সম্মেলন কক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও অবাধ পরিবহন
নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে। রোগগ্রস্ত কোনো পশু হাটে বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।
প্রাণিসম্পদ
অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে মোট ৬ লাখ ৮১ হাজার ৫৩২ জন খামারির কাছে এক কোটি
২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি পশু রয়েছে। আর কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ৯৭ লাখ
৭৫ হাজার ৩২৫টির।
কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ৪৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯৭টি গরু, ১
লাখ ৭৩ হাজার ৫০৪টি মহিষ, ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ৯১৫টি ছাগল, ৯ লাখ ৩৭ হাজার
৬৮২টি ভেড়া এবং অন্যান্য পশু আছে ১ হাজার ৪০৯টি।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বলেন, কোনো খামারি নিজ বাড়ি থেকে এনে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে
না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে, রাস্তাঘাটে জোর করে
নামাতে বাধ্য করা যাবে না।
“এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী,
পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশন বিষয়টি নিশ্চিত করবে। হাটে
আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা
বা হাসিল গ্রহণ করতে পারবে না। এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।”
প্রাণিসম্পদ
অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি ঢাকা
বিভাগে, ২৪ লাখ ৭ হাজারের বেশি। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৪১ হাজার,
রাজশাহী বিভাগে ১৯ লাখ ৭০ হাজার, খুলনা বিভাগে ৯ লাখ ২১ হাজার, বরিশাল
বিভাগে ৪ লাখ ৯৬ হাজার, সিলেট বিভাগে ৪ লাখ ৩৯ হাজার, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ
২৩ হাজার এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি কোরবানির পশুর চাহিদা
রয়েছে।
সভায় রেজাউল বলেন, চাহিদার চেয়ে বেশি থাকায় কোনো ধরনের সঙ্কট হবে না।
এতে
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.
মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, প্রাণিসম্পদ
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা।