ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
পদ্মা সেতুর টাইমলাইন
Published : Saturday, 25 June, 2022 at 12:00 AM
স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারকে পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘপথ। মোকাবিলা করতে হয়েছে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র। তবে সব কিছুর অবসান ঘটিয়ে সেতু এখন যান পারাপারের অপেক্ষায়। ২৬ জুন ভোর ৬টা থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এই সেতু। পদ্মা সেতুর দীর্ঘ পথপরিক্রমা তুলে ধরা হলো বাংলা ট্রিবিউনের পাঠকদের জন্য—
১৯৯৭: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৭ সালে জাপান সফরকালে পদ্মা ও রূপসা সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেন।
১৯৯৮-৯৯: সরকারি অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রাক সম্ভাব্যতা যাচাই।
২০০৭: সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একনেক সভায় পদ্মা সেতু প্রকল্প অনুমোদন।
২৭ আগস্ট ২০০৭: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) চূড়ান্ত প্রাক্কলন ব্যয় ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা অনুমোদন।
২০০৮: ক্ষমতায় এসে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার।
১৯ জুন ২০০৯: সেতুর নকশা প্রণয়নের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়।
২০১১: পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর প্রস্তাব। প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন হয় সংসদে। ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।
২৮ এপ্রিল ২০১১: পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই।
২৯ জুন ২০১২: পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঋণ স্থগিতের ঘোষণা দেয়।
২৩ জুলাই ২০১২: যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন।
সেপ্টেম্বর ২০১২: শর্তসাপেক্ষে এ প্রকল্পে আবার ফেরত আসে বিশ্বব্যাংক।
২০১৩ সাল: পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ সহায়তার অনুরোধ প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ সরকার।
১৭ জুন ২০১৪: পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশ সরকার ও চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়।
১২ ডিসেম্বর ২০১৫: পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: কানাডার আদালত জানায় পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সত্য নয়।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭: পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়।
২০১৭: শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৭/৩৮ নম্বর পিলারের ওপর আরেকটি স্প্যান বসানো হয়।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮: স্প্যানে রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো শুরু।
১৯ মার্চ ২০১৯: সড়কপথের জন্য স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু।
জুলাই ২০১৯: জুলাই মাসে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে মানুষের মাথা লাগার গুজব ছড়ানো হয়। গুজব ঠেকাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হয় সেতু কর্তৃপক্ষকে।
১০ ডিসেম্বর ২০২০: সর্বশেষ স্প্যান বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় সেতু। মোট ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হয়।
২০ জুন ২০২০: ২১ রেল-স্লাব বসানো শেষ হয়।
১৪ জুলাই ২০২১:  পরীক্ষামূলক পিচঢালাই শুরু।
২৩ আগস্ট ২০২১: পদ্মা সেতুতে সর্বশেষ সড়ক স্ল্যাব স্থাপন।
১০ নভেম্বর, ২০২১: মূল সেতুতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু
২৫ নভেম্বর ২০২১: সেতুর ভায়াডাক্টে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু।
১৭ মে ২০২২: টোলের হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি।
২৩ মে ২০২২: সংযোগ সড়কসহ পুরো পিচঢালাইয়ে কাজ শেষ হয়।
২৯ মে ২০২২: নামকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি।
৪ জুন ২০২২: মাওয়া প্রান্তের স্ট্রিট লাইট জ্বালানো হয়।
১৪ জুন ২০২২: একযোগে সবগুলো বাতি জ্বালানো হয়।
২২ জুন ২০২২:  ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু বিভাগের কাছে পদ্মা সেতু হস্তান্তর করে।
২৫ জুন ২০২২: স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন।
(সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন)