নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিবি খাদিজা হলের দুই ছাত্রীকে বিনা অনুমতিতে কাঁঠাল পাড়ায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে শোকজের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন বিবি খাদিজা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. গাজী মো. মহসিন।
তিনি বলেন, ছাত্রীরা গাছে উঠে কাঁঠাল পাড়ার সময় গাছ থেকে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা কিংবা জীবননাশেরও আশঙ্কা ছিল। এতে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা হল কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে পারত। এ জন্য ব্যাখ্যা চেয়ে লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২২ জুন ওই দুই ছাত্রীকে অফিসিয়াল চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘গত ২১ জুন সকাল ১০টার দিকে হলের অভ্যন্তরের কাঁঠাল গাছ থেকে বিনা অনুমতিতে কাঁঠাল ছিঁড়ে বস্তাবন্দি করে নিয়ে গেছেন। ইতোপূর্বেও গাছ থেকে আরও কাঁঠাল, কামরাঙ্গা, পেয়ারা খোয়া গেছে। কিন্তু কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। বিনা অনুমতিতে সরকারি সম্পদ নিয়ে যাওয়া আইন সম্মত নয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘গাছে উঠে কাঁঠাল পারার সময় গাছ থেকে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা কিংবা জীবননাশেরও আশঙ্কা ছিল। এতে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা হল কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে পারত। এ ঘটনায় হলের অফিসে ২৬ জুনের মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।’
বিবি খাদিজা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. গাজী মো. মহসিন বলেন, ছাত্রীরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে সময়মতো লিখিতভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তাদেরকে ভবিষ্যতের জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কাঁঠাল খোয়া গেছে এজন্য নয়, কাঁঠাল পাড়তে গিয়ে যাতে দুর্ঘটনার শিকার না হয় সেই সচেতনতার জন্যই এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এমন নোটিশের খবর পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত শিক্ষাকেন্দ্র। এখানে সবাই শেখার জন্য এসেছে। বিবি খাদিজা আবাসিক হল নারী শিক্ষার্থীদের জন্য। এর মধ্যে ফলগাছ থেকে কাঁঠাল পাড়ায় এমন নোটিশ দেওয়ায় আমরা লজ্জিত। আমাদের কিছু বলার ভাষা নেই।