ফারুক আল শারাহ:
বাংলাদেশ
প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের বড় ভাই ও জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা
ইয়াসমিনের ভাশুর বাংলাদেশ ইনসুলেটর অ্যান্ড স্যানিটারিওয়্যার ফ্যাক্টরি
(বিআইএসএফ)-এর সাবেক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া (৬৭)
ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর কিডনি
ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না
ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভূগছিলেন। গতকাল বুধবার সকাল
৯টায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার গোহারুয়া ভূঁইয়া বাড়ি নুরানী মাদ্রাসা
মাঠে তাঁকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। গার্ড অব অনার শেষে
বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লির উপস্থিতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর
তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা জসিম উদ্দিন মজুমদার। জানাজায়
মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকলের দোয়া
কামনা করেন মরহুমের ভাই বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম।
জানাজায়
উপস্থিত ছিলেন, দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, নাঙ্গলকোট
পৌরসভার মেয়র আবুল মালেক, উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক
ছাদেক হোসেন, অধ্যক্ষ নুরুল্লাহ মজুমদার, আবুল খায়ের আবু, ইউপি চেয়ারম্যান
নাজমুল হাসান ভূঁইয়া বাছির, মাসুদ রানা ভূঁইয়া, আবদুল ওহাব, সাবেক
চেয়ারম্যান আলী আক্কাছ, কাউন্সিলর শাহ খোরশেদ আলম মজুমদার, জহির উল্লাহ
মজুমদার সুমন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ
জয়নাল আবেদীন রাসেল, যুবলীগ নেতা তৌহিদুর রহমান মজুমদার, উপজেলা ছাত্রলীগ
সাবেক সভাপতি আবদুর রাজ্জাক সুমন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল,
লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান
সোহাগ, সামাজিক ব্যক্তিত্ব আবদুল হক ভূঁইয়া, শহিদুল আলম ভুট্টো, নাছির
উদ্দিন মানিক, এনাম ভূঁইয়া, জহিরুল কাইয়ুম মিঠু, কামাল হোসেন মেম্বার,
আনিসুর রহমান, রহিম উদ্দিন রনি, মেহেদী হাসান তুষারসহ বিপুল সংখ্যক
ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় মরহুমের প্রথম নামাজে
জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া ১৯৭১ সালে
লাকসামের নওয়াব ফয়জুন্নেছা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক অধ্যয়নকালে মহান
মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং অসংখ্য
গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। কর্মজীবনে তিনি শ্রমিক রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন।
বিআইএসএফে চাকরির কারণে তিনি চার দশকের বেশি সময় ধরে রাজধানীর মিরপুরে
পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন। ২০১৫ সালে চাকরি থেকে অবসরে যান।
মরহুমের
ছেলে মো. আসিফ কায়সার নাবিল বলেন, ‘বাবার দুটি কিডনিই ড্যামেজ হয়ে গিয়েছিল।
সেজন্য ডায়ালাইসিস করতেন। সম্প্রতি ফুসফুসে পানি জমে যায় ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে
যায়। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুই দিনের মাথায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জীবদ্দশায় বাবা বহু মানুষের
বিপদে-আপদে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।’
বীর
মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দীন ভূঁইয়ার মৃত্যুতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা
কামাল এমপি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বুধবার দেয়া এক শোক বার্তায়
অর্থমন্ত্রী মরহুম বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং মরহুমের শোকাহত
পরিবারের প্রতি গভীর সমবদেনা জানিয়েছেন।