ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাম সংক্ষিপ্তভাবে ‘বি–বাড়িয়া’ না লিখে সম্পূর্ণ লেখার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠপ্রশাসন সংযোগ অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, একটি জেলার নাম বিকৃত করে ডাকা হবে, তা মেনে নেওয়া যায় না। এটাকে বি-বাড়িয়া হিসেবে অনেকেই প্রচার করে আসছে। আমি যোগদানের পর বিষয়টি নজরে আসে। এ বিষয়ে গত ৮ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়। একই তারিখে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের কাছে এ বিষয়ে নির্দেশনা জারির অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, সড়কের ওভারহেডে ও মোরে যেন বি-বাড়িয়া না লিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া লিখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া লিখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, এক স্মারকে এ জেলাকে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নাম উল্লেখ করে ১৯৮৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গেজেট প্রকাশ করা হয়। কিন্তু বিগত সময়গুলোয় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে ‘বি-বাড়িয়া’ নামে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। ফলে বিভিন্ন দাপ্তরিক যোগাযোগ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড, মহাসড়কে স্থাপিত ওভারহেড ডিরেকশনাল সাইনবোর্ড, কিলোমিটার পোস্ট ও বিলবোর্ডগুলোয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামের পরিবর্তে বি-বাড়িয়ার প্রচলন শুরু হয়, যা এখনো বিদ্যমান। তাই সব মন্ত্রণালয়, বিভাগসহ আওতাধীন দপ্তরগুলোকে দাপ্তরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে বি-বাড়িয়া না লেখার নির্দেশনা দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের কাছে অনুরোধ করা হয়।
সব দাপ্তরিক কাজে বি-বাড়িয়া না লিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া লেখার জন্য এবং আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিতে অনুরোধ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে পাঠানো চিঠির অনুলিপি সব সিনিয়র সচিব, সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এর একটি অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের কাছেও পাঠানো হয়।