নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আবু ছায়েদ মো. রিপন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ইকবাল হোসেন সাইফুলকে ঢাকা বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ জুলাই) রাতে তাকে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে বিকেল পৌনে ৪টায় তাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
গ্রেফতার ইকবাল হোসেন সাইফুল (৩২) বেগমগঞ্জের মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের তালুয়া চাঁদপুর গ্রামের তবারক উল্যাহর ছেলে।
শনিবার (২ জুলাই) দুপুরে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী নেতা রিপনকে কুপিয়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ইকবাল হোসেন সাইফুলকে দীর্ঘদিন থেকে খুঁজছে পুলিশ। গোপন সংবাদে জানা যায়, তিনি বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। পরে বিমানবন্দরে তার বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, গ্রেফতারের পর আসামি সাইফুলকে বেগমগঞ্জে আনা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও কারা জড়িত রয়েছে সে বিষয়ে সাইফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এর আগে গতবছরের ২৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকালে বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তালুয়া চাঁদপুর গ্রামের সড়কের পাশ থেকে ব্যবসায়ী আবু ছায়েদ রিপনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নিহত রিপন চৌমুহনী চৌরাস্তায় লাল সবুজ পরিবহনের কাউন্টার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তখন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেছিলেন, মরদেহ উদ্ধারের আগের রাতে পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে কে বা কারা তাকে বাড়ির কাছেই কুপিয়ে হত্যা করে। ভোরে পথচারীরা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
স্থানীয়রা জানান, আবু ছায়েদ রিপনের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। বড়ভাই মারা যাওয়ার পর তিনি ভাবিকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান আছে। এর আগে ভাইয়ের সংসারের আরও দুটি ছেলে সন্তান আছে। নিহত রিপন পরিবহন কাউন্টার ছাড়াও ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ লোক ছিলেন।