Published : Saturday, 9 July, 2022 at 12:00 AM, Update: 09.07.2022 1:56:05 AM
জহির
শান্ত: শেষ মুহূর্তে এসে কুমিল্লায় হঠাৎ করেই যেনো পাল্টে গেলো কোরবানির
হাটে পশুর দরদামের চিত্র। বাজারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে গরু থাকলেও তা বিক্রি
হচ্ছে চড়া দামে। দু’দিন আগেও যেসব গরু ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি হতো
তা এখন লাখ টাকার নিচে ছাড়ছেন না ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, শেষ দিনে বাজার
আরো বাড়তে পারে। ফলে শেষ মুহূর্তে এসে কোরবানির পশু ক্রয় করা নিয়ে কিছুটা
বিপাকে রয়েছেন ক্রেতারা। ঘুরছেন এক বাজার থেকে আরেক বাজারে। এর মধ্যে
হিসেবে মিললে নিয়ে যাচ্ছেন পছন্দের গরু, না হয় অপেক্ষা করছেন শেষ দিনের
জন্য। গতকাল কুমিল্লা সদর উপজেলার নেউড়া, চানপুর, বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি
সাহেব বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা
গেছে এমন চিত্র। তবে বাজারগুলোতে ছোট ও মাঝারি গরুর তুলনায় বড় আকারের গরুর
দাম অনেকটাই সহনশীল বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
আগামীকাল রবিবার
(১০ জুলাই) পবিত্র ঈদ উল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। সে হিসেবে কোরবানির পশু
ক্রয়-বিক্রয়ের আজই শেষ দিন। যদিও কিছু কিছু বাজারে ঈদের দিনও পশু বিক্রি
হবে বলে জানা গেছে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে
কুমিল্লায় কোরবানীর পশুর চাহিদা ২ লাখ ৪৮ হাজার। এর বিপরীতে জেলায় মজুদ আছে
২ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩২টি। এবারের ঈদের জন্য জেলাজুড়ে স্থায়ী পশুর হাট আছে
৭৫টি এবং অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৩৭৯টি। তবে জেলা প্রশাসন থেকে
কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে এবং
মহাসড়কের পাশে কোরবানির পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না।
শুক্রবার সকাল থেকে
দুপুর পর্যন্ত কুমিল্লা শহরতলীর নেউড়া বাজারে অবস্থান করে দেখা যায়,
বাজারে প্রচুর পরিমাণে গরু এসেছে। ছোট-মাঝারি-বড় সব সাইজের গরু থাকলেও দাম
অনেক চড়া। বিক্রেতারা যেনো ‘আরো দাম দেখার অপেক্ষায়’ রয়েছেন।
নগরীর
ছোটরা এলাকা থেকে গরু কিনতে যাওয়া নাজমুল হাসান রাসেল বলেন, দুইদিন আগেও
যেই সাইজের গরু ৮০/৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি হতো- এই সাইজের গরু এখন একলাখ
টাকার নিচে বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা। বাজারে গরুর দামের যে অবস্থা, মনে
হয় না আজকে এখান থেকে গরু কিনতে পারবো।
এই বাজারের গরু বিক্রেতা মামুন
মিয়া বলেন, গরু লালন পালন এখন অনেক ব্যয় বহুল হয়ে গেছে। তাই বেশি দামে
বিক্রি করতে না পারলে পুজি উঠবে না। আগামীকাল (আজ) হয়তো দাম আরো কিছুটা
বাড়তে পারে।
বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি সাহেব বাজারে গিয়েও দেখা যায় একই
চিত্র। বাজারে প্রচুর পরিমাণে গরু। মধ্য দুপুরে কাঠফাটা রোদে
ক্রেতা-বিক্রেতায় গমগম করছে বাজার। কিন্তু সেই তুলনায় বিক্রি হচ্ছে কম।
কারণ জানতে চাইলে মহসিন আলম নামে এক ক্রেতা বলেন, যেই বাজেট নিয়ে বাজারে
এসেছি, এখন দাম শুনে মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। হঠাৎ করেই যেনো বাজারের
মোড় ঘুরে গেলো। কারণটা বুঝতে পারলাম। এখন তো দেখি বাজে না বাড়ালে গরুই
কিনতে পারবো না। দেখি শেষ দিনে কি হয়।