কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ঝগড়ার পর সরস্বতী রানী (৩০) নামে এক গৃহবধূকে ঘুমের মধ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর রঞ্জিত চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা পর রঞ্জিত চন্দ্র দাস এখন পলাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিকালে ৩ টার দিকে উপজেলার লক্ষনপুর মালেকার বাড়ীর নিজ ঘরে এ ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে বিকাল ৫ টারপর
মনোহরগঞ্জ থানার পুলিশের সদস্যরা ঘটনার স্থলে গিয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।
নিহত গৃহবধূ সরস্বতী রানী সে মনোহরগঞ্জ লক্ষনপুর মালেকার বাড়ির রঞ্জিত চন্দ্র দাসের স্ত্রী ও হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল গ্রামের উমেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মনোহরগঞ্জ লক্ষনপুর ইউনিয়নের লক্ষনপুর মালেকার বাড়ির জ্বাল মুড়ি বিক্রিতা সুশীল চন্দ্র দাসের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র দাসের সাথে হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল গ্রামের উমেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে সরস্বতী রানীর সঙ্গে গত ১২ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনের ১০ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সন্তান হওয়ার পর থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে
প্রায়ই ঝগড়া হয়। গত কয়েক মাস আগে তার স্ত্রী ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে একাই বসবাস শুরু করেন। এ দিকে তার স্বামী রঞ্জিত দাস নিজ এলাকায় একটি সেলুন দোকানে কর্মরত আছেন। তাদের সন্তান দাদা দাদীর সাথে থাকতেন। ঈদের ৪ দিন আগে স্বামী ঢাকায় গিয়ে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ীতে আসেন। বৃহস্পতিবার স্বামী স্ত্রী ও স্বজনদের সাথে দুপুরের খাবারের শেষে নিজ ঘরে যায় তারা। বিকাল ৩ টার দিকে গৃহবধূ সরস্বতী রানী সুর চিৎকারে আশেপাশে থাকা স্বজনরা গিয়ে দেখন সরস্বতী রানীর দেহের বিভিন্ন স্থানে কুপানো রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। এবং তার স্বামী রঞ্জিত দাস দরজা খুলে দৌড়ে গিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন স্থানী চিকিৎসকে নিয়ে আসলে চিকিৎস তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত গৃহবধূর দেবর সঞ্জিত এর স্ত্রী পপিরানী দাস বলেন, তাদের বিবাহ হওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে অমীল দেখা যায়। দুই থেকে তিন বছর পর তারা আলাদা বসবাস করে। গত কয়েকদিনের আগে একসাথে বাড়ীতে আসেন, আজ দুপুরে খাবারের পর নিজ ঘরে যায় তারা।পরে তাদের সুর চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে দেখি সরস্বতী রানী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে আর তার স্বামী রঞ্জিত দৌড়ে পালিয়ে যায়।
মনোহরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তপন কুমার বাকচী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে, তবে এখন পযন্ত নিহতের স্বজনেরা কেউ থানায় আসেনি।